ভারতের সিরাম ইনিস্টিটিউট থেকে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার ভ্যাক্সিন পাওয়ার পর কিভাবে প্রয়োগ হবে সে পরিকল্পনা চূড়ান্ত। দেশের উপজেলা থেকে শহর পর্যন্ত সব হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকবে টিকা দেয়ার সুযোগ। প্রয়োগের পর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিলে সে জন্যও থাকছে বিকল্প চিকিৎসা।
সব কিছু ঠিক থাকলে ২৫ বা ২৬ জানুয়ারী তারিখে সিরাম ইনিস্টিটিউটের কারখানা থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পৌঁছাবে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার ৫০ লাখ ডোজ টিকা।
দেশের প্রাতিষ্ঠানিক কার্যক্রম শেষ হওয়া পর্যন্ত বিমানবন্দরের কোল্ড স্টোরে রাখা হবে টিকাগুলো। এরপর সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হবে ইপিআই-এর প্রধান কার্যালয়ের কোল্ড স্টোরে। সেখান থেকে দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হবে টিকাগুলো।
টিকা প্রয়োগের জন্য বেছে নেয়া হচ্ছে দেশের জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ইউনিয়ন পর্যায়ের কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো।
আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন বলেন, টিকা প্রয়োগের পর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে কি না সেটা দেকা হবে। এছাড়াও টিকা দেয়ার পর রোগীকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে বলা হবে। এই সময়ের মধ্যে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয় কিনা দেখা হবে।
আরও পড়ুন: হেলিকপ্টারে করে গিয়ে প্রতারণা করতেন তিনি
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যারা টিকা পাবেন তারা রেজিষ্ট্রেশন শেষে টিকা কেন্দ্রের সময় ও বিস্তারিত মুঠোফোনে এসএমএস আকারে পাঠাবে রাষ্ট্রীয় টেলিকম কোম্পানী টেলিটক বলে জানান, তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সম্প্রতি দেশে শেষ হয়েছে হাম ও রুবেলার টিকাদান কার্যক্রম। সেক্ষেত্রে করোনার টিকা প্রয়োগের বিষয়টি আরও সহজ হবে বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য সচিব মো. আব্দুল মান্নান।
এছাড়াও টিকা প্রয়োগের ক্ষেত্রে টিকাকেন্দ্রে যেন অধিক জনসমাগম না হয় সেদিকেও লক্ষ রাখা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ইতিমধ্যেই সরকার ঢাকায় এই টিকাদানের জন্য কমপক্ষে ৩শ টি কেন্দ্র স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছে।
news24bd.tv আহমেদ