নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ প্রতিনিধি সভার দর্শক আসনে বসা স্থানীয় বর্ষিয়ান নেতা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান খানকে মঞ্চে না ডাকায় সভাস্থল ত্যাগ করতে উদ্যত হন তিনি। এসময় মঞ্চ থেকে ছুটে এসে তার পা ধরে সভায় ফিরিয়ে নেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক (এমপি)।
রোববার নাটোর নবব সিরাজ-উদ-দৌলা সরকারী কলেজ মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ প্রতিনিধি সভা শুরু হওয়ার পর পরই এমন ঘটনা ঘটে।
সকাল ১১টায় সভার কাজ শুরু হওয়ার পর আমন্ত্রিত অতিথিদের মঞ্চে আহ্বান করা হয়।
এসময় মঞ্চে বসিয়ে সম্মান না দেয়ায় দর্শক আসনে বসা সাজেদুর রহমান খান ক্ষুদ্ধ হয়ে সভাস্থল ত্যাগ করে চলে যেতে থাকেন। সভাস্থল ছেড়ে চলে যাওয়া দেখে মঞ্চে বসা নেতৃবৃন্দ তাঁকে বসার জন্য অনুরোধ করেন।
মিলনায়তনের গেইট অবধি চলে গেলে মঞ্চে উপবিষ্ট আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক (এমপি) ছুটে গিয়ে ওই বর্ষিয়ান নেতাকে থামানোর চেষ্টা করেন। তিনি কর্ণপাত না করে চলে যেতে থাকলে উপস্থিত হাজারো প্রতিনিধিদের সামনে পলক তাঁর পা চেপে ধরে সভায় ফিরিয়ে নিয়ে যান। সাজেদুর রহমান খানকে এসময় মঞ্চে বসানো হয়।
জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস এমপির কাছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এবিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সভা শেষে কথা যোগাযোগ করতে বলেন।
তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে দলের এক শীর্ষ পর্যায়ের নেতা বলেন, অসাবধনতা বশত প্রবীণ এই নেতাকে মঞ্চে ডাকতে ভুলে যান উপস্থাপক। তিনি সকলের কাছে একজন শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি। তার সাথে কোন নেতা কর্মীর বিরোধ আছে বলে জানা নেই। ৯০ বছর পেড়োনো কোন মানুষের সাথে কারো দ্বন্দ্ব থাকার বিষয়টি বিশ্বাসযোগ্য নয়। তবুও নিন্দুকেরা বেশ মজা পাবেন এবং এই ঘটনাকে পুঁজি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের মত অপচেষ্টা করতে পারবেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও নাটোর -৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুসের সভাপতিত্বে এবং নাটোর-২(সদর ) আসনের এমপি ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুলের সঞ্চালনায় এই প্রতিনিধি সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) এসএম কামাল হোসেন ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আখতার জাহান,আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক,শহিদুল ইসলাম বকুল এমপি, সংরক্ষিত আসনের এমপি রত্না আহমেদ, সাবেক ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আহাদ আলী সরকার, সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ।
news24bd.tv নাজিম