রংপুরে আইনজীবী আসাদুল হককে ক্ষোভ থেকেই দিনেদুপুরে হত্যা করেছে প্রতিবেশী রতন মিয়া। স্ত্রীর করা নারী নির্যাতন মামলায় সহযোগিতাসহ রাস্তায় দেখা হলে খারাপ ভাষায় গালি-গালাজ করায় রতন ওই
আইনজীবীকে হত্যা করেছে বলে পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। আইনজীবী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশ
রতনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী তার আরেক সহযোগী সাইফুল ইসলামকেও গ্রেপ্তার করেছে। রংপুর
মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় আজ সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপ-পুলিশ কমিশনার কাজী
মুত্তাকি ইবনু মিনান।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, গত ৫ জুন শুক্রবার রংপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রবীণ আইনজীবী ও সাবেক এপিপি আসাদুল হক নিজ বাড়ি নগরীর ধর্মদাস বারো আউলিয়া এলাকা থেকে মর্ডাণ মোড়
যাওয়ার জন্য রাস্তায় বের হন। এ সময় রতনকে ওই রাস্তা দিয়ে যেতে দেখে আসাদুল হক রতনকে উদ্দেশ্য করে খারাপ ভাষায় গালি দেন। রতন এর কোনো উত্তর না দিয়ে বাড়িতে চলে আসে। এরপর প্রতিবেশী আইনজীবীর বাড়িতে চুরি ও তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে রতন।
পরদিন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয় রতন মিয়া। এ ঘটনায় মামলার এজাহারভুক্ত দুই নম্বর আসামি
সাইফুল ইসলামকে ৬ জুন গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
উপ-পুলিশ কমিশনার আরও জানান, রংপুর কোতয়ালি থানায় রতন মিয়ার নামে একাধিক চুরি ও ছিনতাইয়ের মামলা রয়েছে। নারী নির্যাতনের মামলায় আইনজীবী আসাদুল হক রতনের স্ত্রীকে সহযোগিতা করে। এতে করে রতনের মাঝে দীর্ঘদিন ধরে চাপাক্ষোভ বিরাজ করছিল। এর আগেও রতন আসাদুল হকের বাড়িতে চুরি করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার শহিদুল্লাহ্ কাওসার, রংপুর কোতয়ালি জোনের সহকারী
কমিশনার জমির উদ্দিন ও তাজহাট থানার ওসি (তদন্ত) রবিউল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার দুপুরে নিজ বাড়িতে খুন হয় আইনজীবী আসাদুল হক। এদিকে সহকর্মীকে হারিয়ে
শোকাহত আইনজীবীরা আজ রোববার বিকেলে কোর্ট চত্তরে হত্যাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের
দাবি জানিয়ে মানববন্ধন-সমাবেশ করেছে।
এতে বক্তব্য দেন- রংপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক প্রামাণিক, সহকারী পিপি জাহাঙ্গীর হোসেন তুহিন, রফিকুল ইসলাম মুকুল, প্রবীন আইনজীবি সাজ্জাদ হোসেন তাতা প্রমুখ।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)