পঞ্চগড়ে দুই লক্ষ শীতার্ত মানুষের জন্য মাত্র ২৮ হাজার কম্বল

পঞ্চগড়ে দুই লক্ষ শীতার্ত মানুষের জন্য মাত্র ২৮ হাজার কম্বল

সরকার হায়দার,পঞ্চগড়

পঞ্চগড়ে চলছে তীব্র শৈত্য প্রবাহ । গত কয়েক সপ্তাহ থেকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বিরাজ করছে এই জেলায়। এরমধ্যে গত কয়েকদিন থেকে ঘন কুয়াশায় আবৃত হয়ে পড়েছে চারদিক। সূর্যের দেখা মিলছেনা সারাদিন।

বেড়েছেহাড় কাঁপানো শীতের তীব্রতা।  

তীব্র এই শৈত্য প্রবাহের কারণে জন জীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে । চরম দুর্ভোগে পড়েছে নিম্ন আয়ের মানুষ । দরিদ্র শীতার্ত মানুষেরা শীতের কাপড়ের অভাবে নিদারুণ দিন পার করছে।

জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে এই জেলায় প্রায় দুই লক্ষ অসহায় শীতার্ত মানষ রয়েছেন। এইসব মানুষেরা রোদ পোহা এবং আগুনের তাপ নিয়ে শীত পার করছেন।

বর্তমানে রোদেরও দেখা মিলছেনা। শ্রমিক শ্রেণির এই মানুষেরা শীতের তীব্রতায় কাজ কামও করতে পারছে না। ফলে আয় ইনকামও কমেছে তাদের। শীতের কাপড় কেনার সামর্থ্য নেই। শীতের কাপড়ের অভাবে এসব মানুষের জীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। জেলার দুই লক্ষ মানুষের জন্য সরকার বরাদ্দ দিয়েছে মাত্র ২৮ হাজার কম্বল। তাই কম্বল বিতরণে হিম সিম খেতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদের। তবে আরও চাহিদা পাঠিয়েছে জেলা প্রশাসন।  

তেতুঁলিয়া আবহাওয়া বিভাগের তথ্য মতে এ মাসে আরও দুটি শৈত্য প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। আজ সকাল ৮ টায় ১০.৬ ড়িগ্রী সেলসিয়াস তাপমাত্রা তেঁতুলিয়া আবহাওয়া দপ্তর রেকর্ড করেছে। কুয়াশার সাথে গুড়ি গুড়ি শিশিরে নেমেছে হাড় কাঁপুনে শীত।

তেঁতুলিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী মাহমুদুর রহমান ডব্লিউ জানান, কম্বলের পরিমান কম হয়ে গেছে। শীতার্ত মানুষের সংখ্যা অনেক। বিতরণে হিম সিম খেতে হচ্ছে, আরও দরকার। শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশের বিত্তশালীদের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
 
তীব্র এই শীতে জনজীবন বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে। নিম্ন আয়ের মানুষ কাজ করতে পারছে না। অসহায় শীতার্ত মানুষ শীতের কাপড়ের অভাবে চরম সংকটে পড়েছে।  

জেলা প্রশাসক সাবিনা ইয়াসমিন জানান, সরকারি বেসরকারি সহযোগিতায় প্রায় তিরিশ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে । আরও কম্বল বরাদ্দের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। আশা করছি খুব শিঘ্রই আরও কিছু কম্বল বরাদ্দ আসবে। তা দিয়ে শীত মোকাবেলা করা যাবে।  

সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা সরকার কম্বলের বরাদ্দ বাড়িয়ে দ্রুত শীতের কাপড় পৌঁছানো হোক তাদের কাছে ।

 

নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল