বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক সফল অধিনায়ক বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান শুধু ২২ গজের একজন ক্রিকেটার নন, একজন সফল ব্যবসায়ীও বটে। তিনি বন্যা কবলিত আইলা দূর্গতদের কথা চিন্তা করে দেশের সর্ব দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে সুন্দরবন সংলগ্ন সাতক্ষীরার শ্যামনগরে গড়ে তুলেছেন সাকিব অ্যাগ্রো ফার্ম। সেখানে তিনি বহু পরিবারের আত্ম-কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করেছেন।
আমাদের প্রতিনিধি জানান, সাকিব আল হাসান।
সাকিবের এই ফার্মে এখন প্রায় ১৫০ জন ঘূর্ণিঝড় আইলায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ কাজ করে তাদের ভাগ্য বদলিয়েছে।
সাকিব আল হাসানের খামার দেখে উৎসাহিত হয়ে এখানে গড়ে উঠেছে আরও অনন্ত ৮০টি কাঁকড়ার খামার। ফলে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে প্রায় ৫ হাজার মানুষের।
স্থানীয়রা জানান, দুর্গত এলাকায় তার এ খামার স্থাপনের ফলে মানুষ কর্মসংস্থানের জায়গা পেয়েছে। সাকিবের এই খামারে পাঁচ হাজারের মতো লোক কাজ করে।
সুন্দরবন থেকে কাঁকড়ার রেনু সংগ্রহ করে তা কীভাবে মোটা-তাজা করা হয় তার ব্যাখা দিয়ে এই ফার্মের সুপারভাইজার জানালেন, এখন কাঁকড়ার মৌসুম না থাকায় ৬ মাস ধরে বন্ধ রয়েছে সাকিব অ্যাগ্রো ফার্ম।
রেনু সংগ্রহের ব্যাপারে সাকিব অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেডের সুপারভাইজার তৌফিক রহমান জানান, প্রতি চার ঘণ্টা পর পর চেক হয়। দিনে তিন বার, রাতে তিন বার। এ ছয় চেকে মাল উঠিয়ে আমাদের প্রসেসিং প্লান্টে নিয়ে প্রসেসিং করে মাইনাস ৩০ ফ্রিজিং করে শিপমেন্টের উপযোগী করি।
খুব শিগগিরিই সাকিবের নিষেধাজ্ঞা উঠে ক্রিকেট মাঠে ফিরে আসবেন এমনটাই প্রত্যাশা এলাকাবাসীর।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)