নরসিংদীর শিবপুরে বাস-প্রাইভেটকারের মুখোমুখী সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীসহ চার জন নিহত ও পাঁচ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শিবপুর উপজেলার ঢাকা সিলেট মহাসড়কের কারার চর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে।
নিহতরা হলেন- প্রাইভেটকারের যাত্রী ঢাকার মিলেনিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএ’র শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার সাথী (২৬), জান্নাত (২৫), আকিব (২৭) ও নিহত সাদিয়ার স্বামী ইকরাম মিয়া (৩৫)।
নিহত সাদিয়া আক্তার সাথী পাবনার মোশাররফ হোসেনের মেয়ে।
হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, মিলেনিয়াম বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীরা পিকনিক শেষে প্রাইভেটকারযোগে সিলেট থেকে ঢাকায় ফিরছিলেন। প্রাইভেটকারটি শিবপুরের কারারচর এলাকায় পৌঁছলে বিপরীত দিক ঢাকা থেকে আসা সিলেটগামী শ্যামলী পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষ ঘটে।
এতে বাসটি খাদে পড়ে যায় এবং প্রাইভেটকারটি দুমড়ে মুচড়ে গেলে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারে থাকা তিন যাত্রী নিহত হয়।
আহতদের মধ্যে চার জনকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস নরসিংদী ও শিবপুরের চারটি ইউনিট দুর্ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধার করে।
দুর্ঘটনার খবর শুনে সকালে জেলা হাসপাতালে ছুটে আসেন নিহতের স্বজনরা। নিহত বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী সাথী আক্তারের ভাই রফিকুল ইসলাম জানান, চলতি মাসের ৬ তারিখ সাথী ও মোশাররফের বিয়ে হয়।
বিয়ের পর ঈদের ছুটিতে গত ৪ দিন পূর্বে হানিমুন ও মাজার জিয়ারত করতে বন্ধুদের নিয়ে সিলেট যায়। ফেরার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। পুলিশের কাছ থেকে দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তারা হাসপাতালে এসেছে।
নিহতের মা রহিমা বেগম বলেন, মাত্র ১০ দিন আগে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছে। হাতের মেহেদি মুছার আগেই দুর্ঘটনা আমার মেয়ে ও মেয়ের স্বামীকে কেড়ে নিয়েছে। আমি এখন বাঁচবো কি করে ?
নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ৯৯৯ এর মাধ্যমে খবর পেয়ে আমরা দুর্ঘটনা স্থলে যাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা প্রাইভেটকারে তিনজনকে আটকা অবস্থা দেখতে পাই। তাদের উদ্ধার করলে দেখা যায় তারা ঘটনাস্থলেই মারা গেছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাইভেটকারটি ওভারটেকিং করতে গিয়ে বাসের সাথে লেগে যায় এবং গাড়িটি ঘুরে যায় । তখন বাসটি একেবারে প্রাইভেটকারের উপর দিয়ে চলে যায় এবং খাদে পড়ে যায়। এতে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে মুচড়ে যায়।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)