দেশেই নয়, সারা পৃথিবীতে অগ্নি দুর্ঘটনায় শীর্ষে আছে ঢাকা। এই শহরের কোন অংশই ঝুঁকির বাইরে নয়। ইট-সিমেন্টের প্রতিটি ভবন হয়ে উঠতে পারে প্রাণহানির কারণ।
২০১৮ সালে সারাদেশে ৮ হাজার ৪৬১ টি আবাসিক ভবনে আগুন লাগে।
এ বছর এরই মধ্যে প্রায় প্রায় শত প্রাণ আগুনের বলি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভবনের অনুমোদিত নকশার দাগ পাল্টায় মালিকের ইচ্ছায়, সাথে ব্যবহারবিধিও।
ফায়ার সার্ভিসের সাবেক ডিজি ব্রি.জে.আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ বলেন, নকশা পাস করে নিয়ে গেল, তারপর ভবন নির্মাণ করতে ৭-১০ বছর টাইম লাগে। তখন এই পক্ষের দিকে তারা আর ফিরে তাকাবে না। অকোফেশনাল সার্টিফিকেটটা খুব বেশি প্রয়োজন, এবং পরবর্তীতে এটা দেখা হবে যে আমি যেটা বলেছি, সেটা করেছি।
বছর বছর মাথা তোলা বহুতল ভবনগুলোর বেশিরভাগেই অগ্নিকাণ্ড প্রাথমিকভাবে প্রতিরোধ করার নিজস্ব সক্ষমতা নেই। এমনকি ধোঁয়া এড়িয়ে বেরিয়ে আসার মতো প্রশস্ত সিড়ি বা পানির ব্যবস্থাপনা রাখার বিষয়টিও আমলে নেয়া হয় না। ফলে গত দশ বছরে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বাড়লেও ভবনের সংখ্যার অনপাতে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বেড়েছে বহুগুণে।
বুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদ হেলালী বলেন, একটা সেফ এক্সিট রুট লাগবে, আগুন লাগলে মানুষ যাতে নেমে আসতে পারে। এবং এখানে কোন ধোঁয়া, বা আগুন কিছুই থাকবে না। আরেকটা হচ্ছে, ফায়ার লিফট থাকতে হবে, আগুন লাগলে ফায়ার সার্ভিসের লোকরা যেনো সেই লিফটটা আগুন নিভানোর কাজে ব্যবহার করতে পারে। সব ভবনের জন্য এই দুইটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে যে কোন ভবনের ক্ষেত্রে নতুন করে মোডিফাই করা সম্ভব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শহরের সব ভবন দ্রুত যাচাই করে নকশা অনুযায়ী যথাযথ ফায়ার এক্সিট এবং প্রয়োজনীয় পানি ও অগ্নি নিরোধের ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে বাধ্য করতে হবে মালিকদের। নতুবা, চিহ্ণিত করতে হবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কামরুল)