ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক তরিকুলের বিরুদ্ধে যেন অভিযোগের শেষ নেই

ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক তরিকুলের বিরুদ্ধে যেন অভিযোগের শেষ নেই

নিজস্ব প্রতিবেদক

ক্রীড়া পরিদপ্তরের পরিচালক আনম তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে মাদক সেবন, ঘুষ, অনিয়মসহ নানা অভিযোগের তীর দপ্তরটির কর্মকর্তা-কর্মচারিদের। যারপরনাই তার অপসারণ চান তারা। তা না হলে আমরন অনশন এবং সকল কার্যক্রম থেকে বিরত থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পরিদপ্তরের সকল ক্রীড়া কর্মকর্তাদের।

আজ রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) এমন অসংখ্য অভিযোগ নিয়ে ক্রীড়া পরিদপ্তরের বারান্দায় মানববন্ধন করেন ভক্তভোগীরা।

অংশ নেন পরিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন জেলার ক্রীড়া অফিসার ও সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষরা।

ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে কাজ করে ক্রীড়া পরিদপ্তর। প্রতিটি জেলা ও বিভাগে সরকারি এই পরিদপ্তর ক্রীড়া অফিসারদের মাধ্যমে খেলার সরঞ্জাম বিতরণ, প্রতিভা অন্বেষণসহ তৃণমূল পর্যায়ে বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন করে থাকে। একজন পরিচালকের অধিনে পরিচালিত হয় এসব কার্যক্রম।

আর বর্তমান পরিচালক আ ন ম তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে যেনো অভিযোগের শেষ নেই। চাকরি স্থায়ীকরণ, পদোন্নতি, পেনশানের ফাইল আটকে রেখে ঘুষ গ্রহণের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

পরিচালকের পদত্যাগের দাবিতে গত বৃহস্পতিবার থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন পরিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। শুধু ঘুষ নয় বিভিন্ন সময় বিনা কারণে তরিকুল ইসলামের দুর্ব্যবহারের স্বীকার হয়েছেন অনেকে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলনকে সমর্থন করার জন্যও তার কাছে হেনস্থা হতে হয়েছে কয়েকজনকে বলে দাবি ক্রীড়া কর্মকর্তাদের।

ঠাকুরগাঁওয়ের ক্রীড়া কর্মকর্তা বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলন যখন শুরু হয়েছে, আমি আমার বিবেকের তাড়নায় এই আন্দলনে শরিক হই। এই যে আন্দলনে শরিক হই, এই তথ্যটি তিনি পেয়েছেন। তথ্যটি পাওয়ার পর তিনি আমাকে জুলাই মাসে পর পর তিনটি ‘শো কোজ’ করেছেন বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে এবং গত দেড় থেকে দুই সপ্তাহ আগে আমাকে উনি নির্যাতনের ভয় দেখিয়ে একটি বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছেন। অবিলম্বে আমরা এই ধরনের পরিচালকের অপসারণ চাই। ’

দিনের পর দিন স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে আসছেন এই কর্মকর্তা। তার থেকেও গুরুতর অভিযোগ, মাদকের নেশায় নাকি বুদ হয়ে থাকেন সব সময়। এক ক্রীড়া কর্মকর্তা বলেন, ‘ওনার রুমে আমরা কোনো মিটিং করতে পারি না। সারাক্ষণ সিগারেটের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন থাকে। ধূমপানের দুর্গন্ধে টেকা যায় না। ওনার চেহারা দেখলেই যে কেউ বুঝতে পারবে যে উনি নেশা করেন। ’

তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারীরাও তটস্থ থাকেন তরিকুল ইসলামের ভয়ে। সরকারি ছুটির দিনও তার ব্যক্তিগত কাজ করে দিতে হয়। নাহলে শুনতে হয় কটু কথা। শিকার হতে হয় বৈষম্যের। একজন বলেন, ‘পরিচালক স্যারের অত্যাচারের কারণে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি। কোনো ছুটি পাই না। আমাকে দিয়ে বিভিন্ন কাজ করান। একদিন অজ্ঞান হয়ে পরি আমি। পরে মন্ত্রণালয়ের লোকজন আমার মাথায় পানি ঢালে। ’

news24bd.tv/SHS