পৌরসভার জিরো পয়েন্টটি লোকবহুল এলাকা। বলা হয়, এটাই উপজেলার প্রাণকেন্দ্র। বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় ঐক্যজোটের আমলে শিবগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে উন্নয়ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়। প্রচুর উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছিল।
গত ১১ আগস্ট তারেক রহমান চত্বরের নাম রাখা হয় ‘শহীদ মুগ্ধ স্কয়ার’। কিন্তু কেন? গত ১৮ জুলাই ঢাকার উত্তরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ নামে এক শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ সময় তিনি ‘পানি লাগবে পানি’ বলে চিৎকার করে আন্দোলনকারীদের পানি খাওয়াচ্ছিলেন।
মুগ্ধ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০২৩ সালে গণিতে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর তিনি ঢাকায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি)-এ এমবিএ করছিলেন। মৃত্যুর সময়ও তার গলায় বিইউপি আইডি কার্ডটি রক্তমাখা অবস্থায় ছিল। আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে আন্দোলনকারীরা আবারও শিবগঞ্জ উপজেলার জিরো পয়েন্টে বিজয় উল্লাস করেন।
বিজয় উল্লাসের বিভিন্ন খবরাখবর ছড়িয়ে পড়লে তা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নজরে আসে। বিষয়টি নিয়ে বাবার সঙ্গে মতবিনিময় করেন। মেয়ের পরামর্শ গ্রহণ করে চত্বরটির নাম বদলে মুগ্ধ স্কয়ার করার ঘোষণা দেন তারেক রহমান।
শিবগঞ্জ উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মীর শাহে আলম এক সংবাদমাধ্যমকে জানান, দলমতনির্বিশেষে সবাই তারেক রহমানের এ উদারতাকে একটি ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত বলে অভিহিত করেছেন। এ ছাড়া বগুড়ায় আন্দোলনে শহীদ হওয়া শ্রমিক শহীদ রনি ও সেলিম মাস্টারের নামে শিবগঞ্জ উপজেলায় ভিন্ন দুটি চত্বরের নামকরণ করে ফলক স্থাপন করা হয়েছে।
(সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন)