আট জেলায় বন্যা, আরও অবনতির শঙ্কা

বন্যা

আট জেলায় বন্যা, আরও অবনতির শঙ্কা

অনলাইন ডেস্ক

ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর অতিবৃষ্টিতে দেশের পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। ফেনী, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও খাগড়াছড়ি জেলার বড় অংশ এখন পানির নিচে। ইউরোপিয়ান আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেল বলছে, আজ বৃহস্পতিবার রাত ১২টার মধ্যে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, মৌলভীবাজার, কুমিল্লা ও ফেনী জেলায় ২০০ থেকে ২৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হতে পারে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

  

কুমিল্লা

স্থানীয়রা জানান, বিপৎসীমায় রয়েছে কুমিল্লা গোমতী নদীর পানি। যেকোনো সময় বাঁধ ভেঙে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কুমিল্লায় বাঁধে অবস্থান করছে চরের সহস্রাধিক পরিবার। পানিতে ডুবে গেছে দক্ষিণ কুমিল্লার অধিকাংশ সড়ক-ফসলি জমি।

অন্তত ৪ হাজার হেক্টর চরের জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।  

কুমিল্লার লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, চৌদ্দগ্রাম, নাঙ্গলকোটে অধিকাংশ সড়ক ডুবে গেছে। ভেসে গেছে পুকুরের মাছ। বিনষ্ট হয়েছে ফসলের জমি। বাড়ি-ঘরে উঠেছে পানি।  গোমতী পাড়ের বাসিন্দারা জানান, গেল ১০ বছর পর গোমতীর পানি এতো বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে চরের ভেতর সহস্রাধিক পরিবার বাঁধে আশ্রয় নিয়েছেন।  

ফেনী

টানা চার দিনের ভারী বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর ছাগলনাইয়া, পরশুরাম ও ফুলগাজী উপজেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে রয়েছে লক্ষাধিক মানুষ।
উদ্ধার কাজে সেনাবাহিনী ও কোস্ট গার্ড সদস্যদের সহযোগিতা চেয়েছে ফেনী জেলা 

প্রশাসক শাহীনা আক্তার।  বৃষ্টি না হলে কমলে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে বলে আশঙ্কা করেছেন ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী আবুল কাসেম। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বেড়িবাঁধের ২৬টি অংশ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। ডুবে গেছে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের বেশিরভাগ অংশ।

নোয়াখালী 

ঘরের দুয়ারে মুখে কাপড় দিয়ে বসে আছেন নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার কেশাড়পাড় ইউনিয়নের 
৮ নং ওয়ার্ডের মোল্লাবাড়ির তাহেরা বেগম। রান্নাঘরে পানি উঠায় সন্তানদের শুকনো খাবার দিয়েছেন তিনি। কেবল তাহেরা বেগম নয় আশপাশের সবার একই অবস্থা। পানিবন্দি মানুষগুলো কেবল আল্লাহর দিকে চেয়ে আছেন।  

জহিরুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, টানা বৃষ্টিতে মানুষের আয় রুজি বন্ধ হয়ে আছে। অথচ কিস্তির টাকা নিতে এনজিওগুলো চাপ দিচ্ছে। মানুষের কাছে টাকা নাই, তাও তারা জোরাজুরি করছে। আসলে গরিবের দুঃখ কেউ বুঝে না।

আবহাওয়া কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে টানা বৃষ্টিপাত হয়েছে। বুধবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৭১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত আবহাওয়া অফিসে রেকর্ড করা হয়েছে। এখনো বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।

সেনবাগ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিসান বিন মাজেদ অবৈধ বাধ ও খাল উদ্ধারের অভিযান পরিচালনার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

প্রবল প্লাবনের তোড়ে অচল হয়ে গেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর ও আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের কাজ। পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় বুধবার সকাল ১০টার পর ইমিগ্রেশনের কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়।  

এদিকে বানের জলে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে আখাউড়া-আগরতলা সড়ক যোগাযোগ। ভারতের পাহাড়ি ঢল আর উজান থেকে নেমে আসা পানির তীব্র ধাক্কায় গাজীরবাজারের জাজির পুল এলাকার অস্থায়ী সেতুটি ধসে পড়েছে। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।  

আখাউড়া উপজেলার অসংখ্য বহু গ্রাম পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন অসংখ্য মানুষ।  

আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন পুলিশ চেকপোস্টের ইনচার্জ খায়রুল আলম বলেন, সকাল ১০টা পর্যন্ত ২০-৩০ জন যাত্রী আসা-যাওয়া করেছেন। কিন্তু পানি ঢুকে পড়ায় এরপর থেকে ইমিগ্রেশনের সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

মঙ্গলবার রাত থেকে আখাউড়ায় শুরু হয় ভারি বর্ষণ। সকাল থেকে বন্দরের পাশের খাল দিয়ে ভারত থেকে তীব্র বেগে পানি ঢুকতে থাকে।

খাল ভেসে এক পর্যায়ে পানি ঢুকে পড়ে স্থলবন্দর এবং বাউতলা, বীরচন্দ্রপুর,  কালিকাপুর, বঙ্গেরচর, সাহেব নগরসহ অন্তত ৫০টি গ্রামে। ভেঙে যায় জাজির পুলের অস্থায়ী সেতু।

মৌলভীবাজার
    
টানা বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া, জুড়ী, কমলগঞ্জ, রাজনগর ও সদর উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার হাজার ঘরবাড়ি। এতে কমপক্ষে দুই লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

দেখা গেছে, টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে একাধিক স্থানে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। উজানের পাহাড়ি ঢলে উপজেলার ইসলামপুর, আদমপুর, মাধবপুর, কমলগঞ্জ, শমশেরনগর, রহিমপুর, পতনঊষা, মুন্সিবাজার ইউনিয়নের প্রায় ৩০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে উপজেলার বেশিরভাগ সড়ক।

পাহাড়ি ঢলে কমলগঞ্জ-আদমপুর আঞ্চলিক সড়কের ঘোড়ামারা ও ভানুবিল মাঝেরগাঁও এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। আদমপুর ইউনিয়নের ঘোড়ামারা, রানিরবাজার, ইসলামপুর ইউনিয়নের মোকাবিল ও কুরমা চেকপোস্ট এলাকায় নদীর বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। আদমপুর-ইসলামপুর সড়কের হেরেঙ্গা বাজার, শ্রীপুর ও ভান্ডারিগাঁও এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

কুলাউড়ায় বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ভেঙে শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে উপজেলার টিলাগাঁও, জয়চণ্ডী, সদর, রাউৎগাঁও ও পৃথিমপাশা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় সহস্রাধিক মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। সড়ক পথেও অনেক গ্রামের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এদিকে উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে পানিবন্দিদের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রয়েছে।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, জেলার মনু নদী (রেলওয়ে ব্রিজ) বিপদসীমার ১০৫ সেন্টিমিটার চাঁদনীঘাট এলাকায় ৭০ সেন্টিমিটার, ধলাই নদীতে ৮ সেন্টিমিটার ও জুড়ী নদীতে বিপদসীমার ১৭৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুশিয়ারা নদীর পানিও বিপদসীমা স্পর্শ করেছে।

বন্যা কবলিত মানুষরা বলছেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন মাঠে না থাকায় বিগত বন্যার মতো তারা সহযোগিতা পাচ্ছেন না। অনেক নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে পারছেন না।

মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল বলেন, ধলাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে আটটি স্থান দিয়ে বাঁধে ভাঙন দেখা দিয়েছে। মনু নদীরও বাঁধও ভেঙে গেছে। ভারতের ত্রিপুরায় বৃষ্টি হওয়াতে নদনদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। বৃষ্টি কমে গেলে পানি নেমে যাবে। এছাড়া যেসব স্থানে বাঁধ ভেঙেছে সেগুলোতে কাজ চলছে বলে তিনি জানান।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বক্তব্য

বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে সচিবালয়ে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা জানান, দেশের সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ফেনী, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, কুমিল্লা ও খাগড়াছড়ি জেলা বন্যাকবলিত হয়েছে।

অতিরিক্ত সচিব বলেন, আবহাওয়া সংস্থাগুলোর তথ্য অনুযায়ী, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার প্রধান নদীসমূহের পানি সমতল কতিপয় পয়েন্টে সময় বিশেষে বৃদ্ধি পেতে পারে।

তিনি বলেন, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি এই মুহূর্তে বাড়ছে। কুশিয়ারা, মনু, ধলাই, খোয়াই, মুহুরী, ফেনী, হালদা নদীর পানি ৭টি স্টেশনে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।  

সচিব আরও বলেন, ‘আগামী ২৪ ঘণ্টায় মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার মনু, খোয়াই, ধলাই ও সারিগোয়াইন নদীর পানি কয়েকটি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে। এ কারণে ওই সব অঞ্চলের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে। ’

বন্যা আক্রান্ত জেলাগুলোতে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা বলেন, ‘বন্যা আক্রান্ত জেলার জেলা প্রশাসক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সেনাবাহিনী, অন্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে স্থানীয় প্রশাসন কাজ করছে। তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়েছে। ’

ত্রাণ কার্যক্রমের বিষয়ে- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ নাজমুল আবেদীন বলেন, এরই মধ্যে বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ কাজের জন্য নগদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চাল ও শুকনা খাবার দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলা গুদামগুলোতে পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুত রয়েছে। প্রকৃত রিপোর্টের ভিত্তিতে আমরা বন্যাদুর্গতদের কাছে আরও ত্রাণ পৌঁছে দিতে পারবো। আমরা খবর পেয়েছি ইতিমধ্যে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী টিম ফেনীতে পৌঁছে গেছে। তারা উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে। ‌ সেখানে সেনাবাহিনীর ছয়টি বোট চলে গেছে। ’

যুগ্ম সচিব আরও বলেন, ‘ফেনী জেলা প্রশাসকের দেওয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৭৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে এক হাজার ৬০০ জন মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। অন্যান্য জেলার প্রতিবেদন এখনো পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে ফেনী জেলা। ’

জানা গেছে, ফেনীর ফুলগাজী-পরশুরামে বন্যার পানিতে আটকাপড়াদের উদ্ধারে নেমেছে সেনাবাহিনী। উদ্ধারে কাজ করছে বিজিবি ও কোস্ট গার্ড। প্রস্তুত রাখা হয়েছে হেলিকপ্টারও।

ফায়ার সার্ভিসের মনিটরিং সেল চালু

বন্যা কবলিত এলাকায় উদ্ধার বিষয়ে মনিটরিং সেল চালু করেছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। কেন্দ্রীয়ভাবে অধিদপ্তরে স্থাপিত এই মনিটরিং সেলের কার্যক্রম আজ বুধবার (২১ আগস্ট) ৫টা থেকে শুরু হয়েছে।  

ফায়ার সার্ভিসের মিডিয়া সেল থেকে পাঠানো এক বার্তায় জানানো হয়েছে, সারা দেশের বন্যাকবলিত এলাকার উদ্ধারকাজ বিষয়ে যেকোনো সেবা গ্রহণের জন্য ফায়ার সার্ভিসের হটলাইন নম্বর ১০২ এবং কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নিয়মিত ফোন নম্বর ০২২২৩৩৫৫৫৫৫ চালু থাকবে। পাশাপাশি মনিটরিং সেলে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য ০১৭১৩-০৩৮১৮১ মোবাইল নম্বর ব্যবহার করা যাবে।

এর পাশাপাশি জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করেও ফায়ার সার্ভিসের এ সংক্রান্ত সেবা গ্রহণ করা যাবে।  

মনিটরিং সেলের পাশাপাশি বন্যা কবলিত এলাকার ফায়ার স্টেশনসমূহ এবং বিভাগীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষের মাধ্যমেও সেবাগ্রহণকারী সবার দিবারাত্রি ২৪ ঘণ্টা বন্যা-সংক্রান্ত দুর্যোগে উদ্ধার বিষয়ক সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।  

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক