কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে সরকার দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, একদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে নিরীহ ছাত্র-ছাত্রী এবং কোটা সংস্কারের নেতাদের নির্যাতন করা হবে না, অন্যদিকে প্রতিনিয়ত সাধারণ শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার অব্যাহত রাখা হয়েছে।
রোববার (২৮ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব অভিযোগ তোলেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের প্রতিনিয়ত গ্রেপ্তার ও নির্যাতন চালাচ্ছে অথচ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যারা প্রকাশ্যে সাধারণ ছাত্রদের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করলো তাদের একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি, বরঞ্চ তাদের নিয়ে সরকারপ্রধান মায়া কান্না করছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সারা দেশে ৯ হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাবেক এমপি, মন্ত্রীসহ বিএনপির সিনিয়র নেতা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাদের নিষিদ্ধ সন্ত্রাসীদের মতো পাঁচ থেকে সাতদিন করে রিমান্ডে নির্যাতন করা হচ্ছে। সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাইফুল আলম নীরব, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনুসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার এবং রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, দেশটা আজকে ত্রাসের রাজ্যে পরিণত করেছে।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, বিভিন্ন সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি হত্যার সংখ্যা অনেক লম্বা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে দুষ্কৃতিকারীদের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত সরকারি স্থাপনাগুলোর বর্ণনা দেওয়া হলেও কোটাবিরোধী আন্দোলনে মৃত্যুর তালিকা এখন পর্যন্ত প্রকাশ করা হয়নি। মৃত্যুকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই তালিকা প্রকাশ করা হচ্ছে না। তাছাড়া সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের এবং সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার বাণিজ্য অব্যাহত রাখা হয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার বিএনপি ও বিরোধীদলের সব নেতা এবং শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, রিমান্ডে নির্যাতন বন্ধ এবং অবিলম্বে সবার নিঃশর্ত মুক্তির আহ্বান জানান।
news24bd.tv/SHS