ইরানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে কট্টরপন্থী প্রার্থীদের ভীড়ে নারী অধিকার, সামাজিক মুক্তি, যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সতর্ক প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং অর্থনৈতিক পুনর্বিন্যাসের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জনমনে জায়গা করে নিয়েছেন মধ্যমপন্থী মাসুদ পেজেশকিয়ান। শুক্রবার (২৮ জুন) অনুষ্ঠিত নির্বাচনের প্রথম ধাপে অল্প ব্যবধানে তিনি কট্টরপন্থী সাঈদ জালিলিকে হারালেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন না করায় আগামী ৫ জুলাই নির্বাচনের আরও এক ধাপ পার করতে হবে তাকে। খবর রয়টার্সের।
৬৯ বছর বয়সী পেজেশকিয়ান পেশায় একজন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ।
এর আগে তিনি স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নির্বাচনে তাকে এমন প্রার্থীর বিপরীতে লড়তে হচ্ছে যারা ইরানের প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ খামেনির কট্টর পশ্চিমা বিরোধী অবস্থানের প্রতি অনুগত।তারপরেও পেজেশকিয়ান শুক্রবারের নির্বাচনে জিতেছেন, এবং মে মাসে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত সাবেক প্রেসিডেন্ট ইবরাহিম রাইসির স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পথে এগিয়ে আছেন।
নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে পেজেশকিয়ানের জয় কয়েকটি বিষয়ের ওপর নির্ভর করছে।
পরিবর্তনের কথা বললেও পেজেশকিয়ান ইরানের ধর্মীয় নেতৃত্বের প্রতি অনুগট একজন ব্যক্তি, এবং তিনি নিরাপত্তা বাহিনী ও ধর্মীয় নেতৃত্বকে খেপাতে চান না।
পেজেশকিয়ানের অবস্থান রাইসির সম্পূর্ণ বিপরীত, যিনি নারী অধিকারের প্রশ্নে ও পশ্চিমা বিশ্বের সাথে পারমাণবিক অস্ত্র বিষয়ক আলোচনায় কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিলেন।
পেজেশকিয়ানের নির্বাচনী প্রচারণা গতি পায় যখন সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ খাতামি তাকে সমর্থন দেন এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভাদ জারিফকে তিনি তার পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা পদে নিয়োগ দেন।
তবে, জারিফের নিয়োগ প্রসঙ্গে খামেনি বলেন, আমেরিকার সাথে সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যক্তি কারও জন্যই ভালো সহকর্মী হবে না।
পেজেশকিয়ান যদি নির্বাচনে জেতেন তাহলে তা ঐসকল কট্টরপন্থীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে যাবে যারা ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি পুনরায় সক্রিয় হোক এমনটা চান না।
ইরানের রাষ্ট্রীয় নীতি সংক্রান্ত সকল সিদ্ধান্ত খামেনির ওপর নির্ভরশীল। তাই ভোটাররা পেজেশকিয়ানের সামর্থ্য সম্পর্কে সন্দিহান অবস্থায় আছেন। তাই নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে পেজেশকিয়ান দেশবাসীর ভোট পাবেন কিনা তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হয়েছে।
news24bd.tv/ab