পারিবারিক খামারে চাষাবাদ করে ১০২ টন মাছ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান।

পারিবারিক খামারে চাষাবাদ করে ১০২ টন মাছ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী: প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জে পৈত্রিক খামারে চাষাবাদ করে ১০২ টন মাছ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান। মৎস্য চাষে এমন অনুপ্রেরণায় বংলাদেশ মাছ চাষে পৃথিবীর ২য় অবস্থানে রয়েছে বলেও জানান তিনি। বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার বিশ্ব মৎস্য প্রতিবেদন-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মিঠা পানির মাছ আহরণে বাংলাদেশ চীনকে টপকে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে।

বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে পঞ্চম স্থানের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে, ক্রাস্টাশিয়ান্স (খোলসযুক্ত মৎস্য জাতীয় প্রাণি যেমন: চিংড়ি, লবস্টার ইত্যাদি) উৎপাদনে বিশ্বে অষ্টম, এবং সামুদ্রিক মাছ উৎপাদনে ১৪তম স্থান অধিকার করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের মিঠা পানির মৎস্য উৎপাদন ছিল ১.৪৬ মিলিয়ন টন এবং অবস্থান ছিল বিশ্বে দ্বিতীয়। অপরদিকে বাংলাদেশের উৎপাদন ছিল ১.২৫ মিলিয়ন টন এবং অবস্থান ছিল বিশ্বে তৃতীয়। বিগত দুই বছরে বাংলাদেশের মিঠা পানির মৎস্য উৎপাদন ১.২৫ মিলিয়ন টন হতে বৃদ্ধি পেয়ে ১.৩২ মিলিয়ন টন এ উন্নীত হয়েছে।

পক্ষান্তরে চীনের উৎপাদন ১.৪৬ মিলিয়ন টন হতে কমে ১.১৬ মিলিয়ন টন হয়েছে। ফলশ্রুতিতে জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বাংলাদেশ চীনকে টপকে দ্বিতীয় অবস্থানে উন্নীত হয়েছে যা বর্তমান সরকারের একটি অভাবনীয় সাফল্য।

মন্ত্রী জানান, বিগত দুই বছরে মিঠা পানির মৎস্য উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে ইলিশ, দেশীয় প্রজাতির মাছ (পাঙ্গাস, বোয়াল, আইড় ও অনান্য ছোট মাছ) এবং কার্প জাতীয় মাছ। এর মধ্যে সর্বাধিক অবদান রয়েছে ইলিশ মাছের। বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনকারী ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম; ইলিশ উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশ রোল মডেল। ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধি ও টেকসই উৎপাদন নিশ্চিত করতে সরকার কর্তৃক জাটকা সংরক্ষণ, ইলিশ প্রজনন সুরক্ষা কার্যক্রম বাস্তবায়ন, ইলিশ অভয়াশ্রম ঘোষণা ও ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি কার্যক্রম বাস্তবায়নের ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন হয়েছে ৫.৭১ লক্ষ মেট্রিক টন। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় বিগত ১৪ বছরে মোট ৫,০৮,৭১৬.৯৬ (পাঁচ লক্ষ আট হাজার সাতশত ষোল দশমিক ছিয়ানব্বই মেট্রিক টন) মেট্রিক টন খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও মা ইলিশ আহরণ নিষিদ্ধকালীন সময়ে বিগত ৮ বছরে মোট ৮০৩৩৪.৫৪ (আট হাজার তিনশত চৌত্রিশ দশমিক চুয়ান্ন) মেট্রিকটন ভিজিএফ খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

এসময় ২০৩০ সালে মৎস্য উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৬৫ লক্ষ মেট্রিক টন এবং ২০৪১ সালে ৮৫ লক্ষ মেট্রিক টন নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

কোরবানি গরুর দাম নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, বাজারে চাহিদার চেয়ে ২২ লাখ পশু বেশি আছে। বাজারে ১ কোটি ৩০ লাখ কোরবানির পশু আছে।  

ডিমের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ডিমের দাম বেশি নেয়ার ক্ষেত্রে মুরগীর খাবারের দাম বৃদ্ধির অজুহাত শুনবো না। এজন্য খামারীদের সাথে সভা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

news24bd.tv/ab