বাড়ি নির্মাণের শর্তে ‘সংহতি’ ভিসা দেবে পর্তুগাল। তাই ধনী বিদেশিদের জন্য গোল্ডেন ভিসার আদলে ‘সলিডারিটি’ বা ‘সংহতি’ ভিসা চালু করার পরিকল্পনা নিয়েছে দেশটির নতুন সরকার। দেশটি বহুদিন থেকে আবাসন সংকটে ভুগছে। তাই সাশ্রয়ী মূল্যে আবাসন দিতেই গোল্ডেন ভিসার মতো একটি প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।
খবর ডয়চে ভেলের।বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে মন্ত্রিপরিষদ বিষয়ক মন্ত্রী আন্তোনিও লাইতো আমারো মঙ্গলবার বলেন, ‘সংহতি' ভিসা নামের এই প্রকল্পটি গোল্ডেন ভিসা প্রকল্পের পরিপূরক হবে। ২০১২ সাল থেকে এই ভিসার মাধ্যমে বিদেশিদের বিনিয়োগের শর্তে পর্তুগালে বসবাসের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। গোল্ডেন ভিসা চালুর পর থেকে এর আওতায় ৭৩০ কোটি ইউরো বিনিয়োগ করেছিলেন বিদেশিরা।
তবে অনেকেই বলেছেন, এই ভিসা প্রকল্প আবাসন সংকটকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে। তাই গত বছরের ১৬ মার্চের পর গোল্ডেন ভিসা প্রকল্প বন্ধ করে দেয় সরকার। এটি বন্ধ করার কারণে পর্তুগালের ওপর চাপ দেয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তখন দীর্ঘমেয়াদে বসবাসে আগ্রহ দেখায় ধনী বিদেশিরা। কিন্তু সেই সুযোগ সীমিত করেছিল তৎকালীন সরকার।
সংহতি ভিসা চালুর ঘোষণার পরেরদিন লেইতো বলেন, ‘আমরা প্রচলিত প্রকল্পটি পরিবর্তন করিনি। তবে আমরা দুই ধরনের সংহতি ভিসা তৈরি করেছি। তিনি বলেন, নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী আগ্রহী ধনী বিদেশিদের সাশ্রয়ী মূল্যের বাড়িতে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা হবে। যাতে পর্তুগিজ নাগরিকেরা সুলভ মূল্যে বাড়ি কিনতে বা ভাড়া নিতে পারেন।
পর্তুগালে বসবাসরত অভিবাসীর সংখ্যা অন্তত আট লাখ। এক দশক আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ। দেশটির অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানও রাখছেন এসব অভিবাসীরা।
কিন্তু মাইগ্রেশন অবজারভেটরি বলছে, অভিবাসীদের চাকরির নিশ্চয়তা নেই এবং মজুরিও পাচ্ছেন কম।
অনেকেই দেশটিতে থাকার জন্য বাসা খুঁজে পাচ্ছেন না। এক বাসায় গাদাগাদি করে অনেকে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। কেউ কেউ রাত কাটাচ্ছেন রাস্তায়। বাসা ভাড়া বেড়েছে তীব্রভাবে, বেড়ে গেছে বাড়ির দামও। পর্যটনের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত লিসবন ও পোর্তো শহরে এ সংকট আরো তীব্র হয়েছে।
গোল্ডেন ভিসার জন্য আড়াই থেকে পাঁচ লাখ ইউরো বিনিয়োগ করতে হতো। লেইতো আমারো বলেন, সরকার নতুন সংহতি ভিসার জন্য বিনিয়োগের পরিমাণ এখনও নির্ধারণ করেনি। তবে বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে অন্যান্য পদ্ধতির চেয়ে এক্ষেত্রে বিনিয়োগের পরিমাণ কম ধরা হবে।
news24bd.tv/DHL