কুমিল্লায় বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১

কুমিল্লায় বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ১

অনলাইন ডেস্ক

কুমিল্লায় যুবদলের দুইপক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরো অন্তত ৫ জন।

রোববার (২ জুন) রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা নগরীর কান্দিরপাড় রামঘাটলা পৌর মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

দলীয় সূত্র, প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব ফরিদ উদ্দিন শিবলু এবং মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক রিয়াজ উদ্দিন খানের মধ্যে দলীয় অন্তঃকোন্দল চলছে দীর্ঘদিন ধরে। শিবলু কুমিল্লা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব ইউসুফ মোল্লা টিপুর অনুসারী আর রিয়াজ উদ্দিন কুমিল্লা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবুর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

গত রোজার মাসে জেলা বিএনপির ইফতার মাহফিলে এই দুই নেতার নেতাকর্মীদের মধ্যে গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ওই সময় শিবলুসহ তার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায় রিয়াজের পক্ষ। ঘটনায় রিয়াজকে সাময়িক বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় যুবদল।

রোববার (২ জুন) যুবদল নেতা রিয়াজের বহিষ্কারাদেশটি প্রত্যাহার করে কেন্দ্রীয় যুবদল। এতে রোববার রাতে নেতাকর্মীদের নিয়ে মহড়া দেন রিয়াজ গ্রুপ। এ সময় শিবলু গ্রুপের নেতারও মহড়া দিতে নগরীর কান্দিরপাড়ের দিকে এলে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ হয়।

এ সময় কান্দিরপাড় রামঘাটলা পৌর মার্কেটের সামনে থেকে ঈশ্বর পাঠশালা পর্যন্ত উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ৮/১০ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। রিয়াজ গ্রুপের সঙ্গে থাকা নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের আহ্বায়ক ফখরুল ইসলাম তুহিন গুলিবিদ্ধ হন। আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরো অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। তাদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

ঘটনার পর বিষয়টি নিয়ে যুবদলের নেতাদের তাৎক্ষণিক কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি ফিরোজ হোসেন বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার পর দুই পক্ষই ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়। এ ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তাকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। গুলি চালানোর বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

জেলা পুলিশ সুপার মো. আব্দুল মান্নান বলেন, বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে এ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে।

news24bd.tv/DHL