দেশে গণমাধ্যমের সংখ্যা বৃদ্ধি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রতিফলন: আরাফাত

মোহাম্মদ এ আরাফাত

দেশে গণমাধ্যমের সংখ্যা বৃদ্ধি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রতিফলন: আরাফাত

অনলাইন ডেস্ক

গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের কোনো ইচ্ছা সরকারের নেই বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। তিনি বলেন, সরকারের যদি গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের ইচ্ছা থাকত তাহলে দেশে এতো সংবাদ মাধ্যম বাড়ানোর অনুমতি দেওয়া হতো না।

রাজধানীর গুলশান ক্লাবে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব) আয়োজিত এর সদস্য সংবাদপত্রের প্রকাশনার ৫০ বছর ও ২৫ বছর পূর্তিতে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

আরাফাত বলেন, দেশে গণমাধ্যমের সংখ্যা বৃদ্ধি সংবাদপত্রের স্বাধীনতারই প্রতিফলন।

নোয়াব সভাপতি একে আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সবসময় গঠনমূলক সমালোচনাকে স্বাগত জানায় উল্লেখ করে আরাফাত বলেন, গত ১৫ বছরে দেশ গণমাধ্যমের ব্যাপক বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করেছে।

আরাফাত বলেন, সরকারের যদি গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণের কোনো ইচ্ছা থাকত, তাহলে তারা সংবাদমাধ্যমের সংখ্যা বাড়তে দিত না, কারণ অধিক সংখ্যায় সংবাদমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করা আরও কঠিন।

তিনি গণমাধ্যমকে বৈজ্ঞানিক প্রমাণ, যথাযথ তথ্য উপাত্ত দিয়ে সংবাদ প্রকাশের আহ্বান জানান।

আরাফাত আরও বলেন,‘আমরা সমালোচনা গ্রহণের জন্য একেবারে প্রস্তুত এবং আপনার মতামত শুনতে ইচ্ছুক। আমরা বিশ্বাস করি না যে আমাদের কোনো ব্যর্থতা বা ভুল নেই। ’

তিনি বলেন, সংবাদমাধ্যম সরকারের ভুলগুলোকে সংশোধনের জন্য চিহ্নিত করে সরকারকে সাহায্য করতে পারে।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারস (আরএসএফ) প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি জানি না তারা কীভাবে এটি তৈরি করেছে। আমি র‌্যাঙ্কিংয়ের জন্যে ইনপুট হিসাবে নেওয়া তথ্যগুলো দেখেছি। রিপোর্টে আমি অনেক ভুল তথ্য পেয়েছি। ’

তিনি ২০২৩ সালের রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত পদ্ধতিগত দুর্বলতা এবং ভুল তথ্য চিহ্নিত করে আরএসএফকে একটি চিঠি পাঠানোর কথা উল্লেখ করে বলেন, আরএসএফ সেসব স্বীকার ও সংশোধন করেছে।

আরাফাত বলেন,‘আমরা জানতে পেরেছি যে (আরএসএফ রিপোর্টে)স্বচ্ছতার অনেক অভাব রয়েছে। যেমন আপনি যদি একটি নির্দিষ্ট দেশের গণমাধ্যমের পরিবেশ সম্পর্কে মুষ্টিমেয় কিছু লোককে জিজ্ঞাসা করেন যা মূলত সেই বিশেষ ব্যক্তিদেরই মতামত হবে। এটি পুরো দেশের চিত্র হতে পারে না। ’

আরাফাত আরও বলেন, তাই সমগ্র দেশের বাস্তব চিত্র পাওয়ার জন্য গবেষণায় একটি সুপ্রতিষ্ঠিত পদ্ধতি রয়েছে যা অনুসরণ করা প্রয়োজন। কিন্তু এই বিশেষ গবেষণায় তা অনুসরণ করা হয়নি উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এটা কি সম্ভব যে বাংলাদেশের গণমাধ্যমের পরিবেশ আফগানিস্তানের চেয়ে খারাপ?

তিনি আরও বলেন, ‘এটি তখনই সম্ভব যখন আপনার পদ্ধতিতে কিছু ভুল রয়ে যাবে। তাই, আমি সবকিছুকে অভিহিত মূল্যের ভিত্তিতে না নেয়ার অনুরোধ করছি। ’

দেশের গণমাধ্যমের পরিবেশে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের গণমাধ্যমের পরিবেশের উন্নয়ন ও সমস্যা সমাধানে কাজ করছি।

news24bd.tv/আইএএম

এই রকম আরও টপিক