সলঙ্গা গণহত্যায় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে হাইকোর্টের নির্দেশ

সলঙ্গা গণহত্যায় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে হাইকোর্টের নির্দেশ

ঐতিহাসিক সলঙ্গা বিদ্রোহে যে স্থানে হত্যা সংঘটিত হয়েছে সে স্থানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

সেই সঙ্গে সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা গণহত্যাকে জাতীয় দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়েছে।

রোববার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হবে। একই সাথে গণহত্যা সংঘটনের স্থানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সিরাজগঞ্জের বাসিন্দা ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসাদ উদ্দিন জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।

উল্লেখ্য ১৯২২ সালের ২৭ জানুয়ারি ব্রিটিশ সরকারের লেলিয়ে দেওয়া পুলিশ বাহিনীর গুলিতে রায়গঞ্জ থানার সলঙ্গা হাটে বিলেতি পণ্য বর্জন-আন্দোলনের কর্মীসহ সাধারণ হাটুরে জনতা শহীদ হন। ব্রিটিশ শাসন আমলে সাম্রাজ্যবাদবিরোধী অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনে জনতা উদ্বেলিত হয়ে বিলেতি পণ্য বর্জন করে স্বদেশি পণ্য ব্যবহারের সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। এ আন্দোলনের ঢেউ এসে আছড়ে পড়ে সলঙ্গায়।

সে সময় তৎকালীন পাবনা জেলার এবং বর্তমান সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গায় একটি ব্যবসায়ীক জনপথ হিসেবে সপ্তাহে দুদিন হাট বসত। ১৯২২ সালে ২৭ জানুয়ারি শুক্রবার ছিল বড় হাটবার। মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশেষ নেতৃত্বে অসহযোগ ও খেলাফত আন্দোলনের কর্মীরা হাটে বিলেতি পণ্য কেনা-বেচা বন্ধ করে দেন। স্বদেশি আন্দোলনের কর্মীদের রুখতে ছুটে আসে পাবনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আরএন দাস, জেলা পুলিশ সুপার ও সিরাজগঞ্জ মহুকুমা প্রশাসনক এসকে সিনহাসহ ৪০ জন সশস্ত্র লাল পাগড়ীওয়ালা পুলিশ। সলঙ্গার গো হাটায় ছিল বিপল্লী স্বদেশি কর্মীদের অফিস। পুলিশ কংগ্রেস অফিস ঘেরাও করে গ্রেপ্তার করে মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুর রশীদকে। সঙ্গে সঙ্গে তাকে মুক্ত করতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়।

news24bd.tv/তৌহিদ