ঢাকার ১৫ শতাংশ বাড়িতে এডিসের লার্ভা

ঢাকার ১৫ শতাংশ বাড়িতে এডিসের লার্ভা

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার প্রায় ১৫ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। বর্ষা পূর্ববর্তী জরিপের এই ফলাফল উদ্বেগজনক বলে মনে করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

আজ মঙ্গলবার (২৮ মে) মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আয়োজিত প্রাক-বর্ষা মৌসুম জরিপের ফলাফল জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এসময় জরিপের তথ্য উপস্থাপন করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. শেখ দাউদ আদনান।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় গত ১৭ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত এই জরিপ চালানো হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার কীটতত্ত্ববিদদের সমন্বয়ে ২১টি দল ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৯৯টি ওয়ার্ডে এই জরিপ চালিয়েছে।

জরিপে ৯৯টি ওয়ার্ডের ৩ হাজার ১৫২টি বাড়িতে যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দল। এসময় ৪৬৩টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া এবং পিউপা পাওয়া যায়।

যা পরিদর্শন করা মোট বাড়ির ১৪ দশমিক ৬৯ শতাংশ।

যেসব বাড়ি জরিপ করা হয়েছে তার মধ্যে ৪২ দশমিক ৩৩ শতাংশ বহুতল ভবন। এছাড়া ২১ দশমিক ৬ শতাংশ স্বতন্ত্র ভবন, ২১ দশমিক ৬ শতাংশ নির্মাণাধীন ভবন, ১২ দশমিক ৭৪ সেমিপাকা বাড়ি এবং ১ দশমিক ৭৩ শতাংশ খালি জায়গা।

জরিপ বলছে, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৮টি ওয়ার্ড এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১০টি ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স পাওয়া গেছে ২০ এর বেশি। এরমধ্যে ডিএসসিসির ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স সবচেয়ে বেশি ৭৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

চামেলিবাগ, রাজারবাগ, বিজয়নগর, পুরানা পল্টন,  শান্তিনগর এলাকা নিয়ে ওই ওয়ার্ড। এছাড়া ডিএসসিসির ৪, ৫২, ৫৪, ১৬, ৩, ৫, ১৫, ১৭ এবং ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স ২০ এর বেশি।

উত্তর সিটি করপোরেশনের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ব্রুটো ইনডেক্স সবচেয়ে বেশি পাওয়া গেছে,  ৪৩  দশমিক ৩৩। শাহ আলীবাগ, টোলারবাগ, পাইকপাড়া ও দক্ষিণ বিশিল এলাকা নিয়ে ওই ওয়ার্ড।  

কোনো এলাকায় ব্রুটো ইনডেক্স ২০ এর বেশি পাওয়া গেলে তাকে ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি বলা হয়। শেখ দাউদ আদনান বলেন, হাউস ইনডেক্স ১০ এর বেশি হলে মশার ঝুঁকিপূর্ণ উপস্থিতি বলা হয়। সে হিসেবে ১৪ শতাংশের বেশি উপস্থিতি ঝুঁকিপূর্ণ। বর্ষার আগে এটা আরও উদ্বেগজনক।

সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এবিএম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবীর উপস্থিত ছিলেন।

news24bd.tv/SHS