উপজেলা পরিষদ নির্বাচন 

ফের আওয়ামী লীগ নেতাদের একচেটিয়া জয়, বিশ্লেষকরা বলছেন ‘অশনিসংকেত’

অনলাইন ডেস্ক

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপে চেয়ারম্যান পদে জয়জয়কার আওয়ামী লীগ নেতাদের। ১৫৬ উপজেলার মধ্যে ১৩৬টিতে জিতেছেন দলটির নেতারা। এছাড়া বিএনপির বহিষ্কৃত ছয় নেতা, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের এক, জাতীয় পার্টির (জেপি) এক (পদত্যাগী), আঞ্চলিক দল থেকে দুই ও বাকিগুলোতে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগ নেতাদের এমন একচেটিয়া জয়ের পর বিশ্লেষকরা বলছেন, বিএনপির মতো বড় দল ভোটে অংশ না নেওয়ায় এমন ফল অনুমেয়ই।

তবে দুশ্চিন্তার কারণ কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ও নিজেদের মধ্যে রেষারেষি।


এ বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি ড. মুহাম্মদ মাহমুদুল রহমান বলেছেন, স্থানীয় যে প্রতিনিধি আছে কিংবা সেখানের যে মন্ত্রী আছে বা এমপি আছে, উনি চান ওনার বলয়ের নেতৃত্ব তৈরি করতে। এখন যারা ওনার পক্ষের লোক না, ওনার যারা বলয়ের লোক না তারা তো স্বভাবতই বঞ্চিত হচ্ছে।  

বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনকে ঘিরে এই সংঘাত সুষ্ঠু ধারার রাজনীতির জন্য অশনিসংকেত।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক অ্যাডভোকেট আখতার কবির বলেন, স্থানীয় সরকার চালানোর জন্য যে প্রতিনিধি নির্বাচন করে, সেই নির্বাচক যখন তামাশায় পরিণত হয়, মানুষের যখন আস্থা-বিশ্বাস বিন্দু পরিমাণে থাকে না, তখন তো সেটা চূড়ান্ত অর্থেই গণতন্ত্রের জন্য অশনিসংকেত।

 যদিও আওয়ামী লীগ নেতাদের দাবি, ভোট ঘিরে সাময়িক বিভেদ দীর্ঘমেয়াদে প্রভাব ফেলবে না।

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সমাপদক অ্যাডভোকেট আসলাম সরকার বলেন, প্রার্থীর সমর্থককের মধ্যে গণ্ডগোল হয়, তার একটা প্রভাব এবং সেই প্রার্থীরা যদি একই দলের হয় তাহলে তার একটা প্রভাব দলের মধ্যে থাকেই। কিন্তু এটা দলের ওপরে চিরস্থায়ী থেকে যাবে, এটা আমরা মনে করি না।  

নির্বাচনে প্রথম ধাপের চেয়ে দ্বিতীয় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ভাবিয়ে তুলেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। তাই তৃতীয় ধাপে সুষ্ঠুভাবে ভোট শেষ করতে আরও কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে তারা।

news24bd.tv/SHS