যুক্তরাষ্ট্র ভণ্ডামি করছে: রাশিয়া

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা

যুক্তরাষ্ট্র ভণ্ডামি করছে: রাশিয়া

অনলাইন ডেস্ক

মস্কো থেকে ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে কপট আচরণের অভিযোগ তোলা হয়েছে। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) মস্কো জানিয়েছেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) তদন্তের বিরোধিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। অথচ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা সমর্থন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যা তাদের ভণ্ডামি ছাড়া আর কিছুই নয়।

রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা টেলিগ্রামে করা এক পোস্টে জানান, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আইসিসির দেওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানা পুরোপুরি সমর্থন করে ওয়াশিংটন। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র এখন তাদের ও তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্তের বৈধতা স্বীকার করতে চাইছে না।

এ সময় তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থান কপটতার শামিল।

আইসিসি যুদ্ধাপরাধের দায়ে ব্যক্তিদের অভিযুক্ত করার পাশাপাশি মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ ও গণহত্যার তদন্ত করতে পারে।

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর সাত মাস ধরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার তদন্ত করছে আইসিসি।

এদিকে হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র কারিন জ্যঁ–পিয়েরে গত সোমবার বলেন, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আইসিসির তদন্ত সমর্থন করে না যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া এই বিষয়ে আদালতের এখতিয়ারের বিষয়টিতেও বিশ্বাস করে না তারা।

তবে এর আগে গত বছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছিলেন, পুতিনের বিরুদ্ধে আইসিসির গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়টি ছিল ন্যায়সংগত। ইউক্রেনে কথিত রুশ যুদ্ধাপরাধের বিবরণ আইসিসির কাছে তুলে ধরেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মস্কো বলেছে, পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার পরোয়ানা জারি করা পশ্চিমাদের অর্থহীন প্রয়াস। এর মধ্য দিয়ে তারা রাশিয়ার সম্মান নষ্ট করার চেষ্টা করেছে। তারা ইউক্রেনে কোনো যুদ্ধাপরাধ করেনি। যদিও ইউক্রেন দাবি করে আসছে যে রাশিয়া যুদ্ধাপরাধ করেছে।

রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেন যে অপরাধ করেছে, তা এড়িয়ে গেছে পশ্চিমারা। তবে কিয়েভ এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে।

রাশিয়া ও ইসরায়েল আইসিসির সদস্য নয়। তবে ২০১৫ সালে ফিলিস্তিন আইসিসির সদস্য হয়। গত শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, আইসিসির কোনো সিদ্ধান্ত ইসরায়েলের কার্যক্রমের ওপর প্রভাব না ফেললেও বিপজ্জনক একটি উদাহরণ তৈরি করবে।

ইসরায়েলের কর্মকর্তারা অবশ্য আইসিসির আদেশ নিয়ে উদ্বেগে রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে কারণ আইসিসির পক্ষ থেকে গাজায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করার অভিযোগে নেতানিয়াহু ও ইসরায়েলে অন্য শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হতে পারে। পাশাপাশি হামাস নেতাদের বিরুদ্ধেও এ পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

news24bd.tv/SC