দিনাজপুরের বিরল উপজেলার ১ নম্বর আজিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের ভোট গণনার পর দুই সদস্য প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটায় উপজেলার চৌরঙ্গীবাজার এলাকায় সিঙ্গুল হামিদ-হামিদা উচ্চবিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে এ সহিংসতার ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছে।
জানা যায়, নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণার পর সিঙ্গুল হামিদ-হামিদা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরাজিত ইউপি সদস্য প্রার্থীর সমর্থক ও পুলিশের মধ্যে সংর্ঘষ চলাকালে শটগানের গুলিতে তিনি নিহত হন।
নিহত হাজী মোহাম্মদ আলী বিরল উপজেলার ১নং আজিমপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের সিঙ্গুল ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের মাহামুদ বক্সের ছেলে।
দিনাজপুর জেলা পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহম্মেদ জানান, সিঙ্গুল হামিদ-হামিদা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণার পর ইউপি সদস্য পদে নির্বাচনী ফলাফল ঘোষণা করা হয়। ১নং ওয়ার্ডের টিউবওয়েল প্রতীক নিয়ে জবাইদুর রহমান ২০ ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হন। পরাজিত প্রার্থী সাইদুর রহমানের সমর্থকরা মেনে না নিয়ে কেন্দ্র প্রবেশ করে হামলা চালায়।
তিনি জানান, পুলিশ জানমাল রক্ষার্থে ৫০ থেকে ৬০ রউন্ড শটগানের গুলি ছুড়েন। পরে পরিস্থিতি শান্ত হলে তারা ঘটনাস্থল থেকে চলে আসেন। পরে তারা জানতে পারেন হাজী মোহাম্মদ আলী নামে এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসাপাতালে আসার পথে মারা গেছেন। ঘটনা শুনে তাৎক্ষণিকভাবে আমরা দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে গিয়ে ঘটনা জানার চেষ্টা করেছি।
হাসাপাতালে পরিদর্শনে গিয়ে জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ জানান, জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে প্রধান করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদেরকে তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
news24bd.tv/DHL