রুহুল মাহফুজ জয়। এখন ইংল্যান্ড প্রবাসী। একসময় বাংলাদেশে স্পোর্টস রিপোর্টিং করতেন। গতকাল শনিবার ( ২৭ এপ্রিল) তিনি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘ নারী আম্পায়ারের অধীনে খেলতে চায়নি মোহামেডান ও প্রাইম ব্যাংক।
আপত্তিটা এসেছে দুই দলের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে, ক্রিকেটাররা এই আপত্তিতে জড়িত এমন প্রমাণ পাওয়া যায় নাই। এই দুটি ক্লাব ও কর্মকর্তাদের প্রতি তীব্র নিন্দা ‘।এদিকে মনির মন্ডল নামের একজন লেখেছেন, ‘ মাঠ ফেরত সাংবাদিক বলছে ভিন্ন কথা । ঘটনা গত বৃহস্পতিবার থেকে ।
মুহাম্মদ মেহেদী খান তার পোস্টে লেখেন, ‘ সেটা নারী বলে না। অনভিজ্ঞ বা জুনিয়র আম্পায়ার বলে। কারণ সিসিডিএম এটা গুরুত্বহীন ম্যাচ ভেবেছে। অযথা প্লেয়ারদের পিছে লেগেছে কিছু অতি উৎসাহিী ‘।
জাভেদ পীরজাদা আজ রোববার ( ২৮ এপ্রিল) লেখেন, ‘ এই আম্পায়ার আইসিসি স্বীকৃত। আর জুনিয়র বললেই রাতারাতি কেউ সিনিয়র হয় না। জুনিয়র থেকেই সিনিয়র হতে হয়’।
বাংলাদেশের একসময়ের স্পোর্টস রিপোর্টার ও ধারাভাষ্যকার ফরহাদ টিটো আজ রোববার ( ২৮ এপ্রিল) লেখেন,‘ মোহামেডান আর প্রাইম ব্যাংক ক্লাবের সমস্যা কি ?
তাদের ব্যাটাররা ব্যাট করার সময় কি বোলার আর বোলিং দেখা বাদ দিয়ে নারী আম্পায়ার দেখতে লেগে যাবেন ? না কি তাদের বোলাররা বল করার সময় ব্যাটসম্যান আর স্টাম্পের দিকে চোখ না রেখে আম্পায়ার দেখা শুরু করে দিবেন ?
হ্যাঁ, ফিল্ডিং করার সময় অবশ্য এই ভয়টা থাকতে পারে। Joking apart..
আম্পায়ার কে থাকবেন কে থাকবেন না এই সিদ্ধান্ত ক্লাবের না।
সমস্যা কি এই জেন্ডারের আম্পায়ারদের হুমকি-ধামকি দেয়া যাবে না ? না কি আইসিসি স্বীকৃত হয়েও তারা পুরুষ ক্লাবগুলির চোখে অযোগ্য ?
না কি সমস্যা আরো গভীরে.. "নারী"তে ?’
গত শনিবার সন্ধ্যার পর ফেসবুকে দেশি-বিদেশি বাংলাদেশিদের পোস্টের বিষয়ই ছিল নারী আম্পায়ার ও ক্রিকেটার নিয়ে।
কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়, গত ২৫ এপ্রিল শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে মোহামেডান ও প্রাইম ব্যাংক ম্যাচ শুরুর আগে নারী ফিল্ড আম্পায়ার সাথিরা জাকির জেসির অধীনে খেলা নিয়ে আপত্তি তুলেছিলেন প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানের ক্রিকেটাররা। এ নিয়ে বিভ্রান্তির জন্ম।
সাদিকা পারভিন লেখেছেন, ‘সাথিরা জাকির জেসি হচ্ছেন বাংলাদেশের প্রথম আন্তর্জাতিক নারী আম্পায়ার । আগামী জুলাইয়ে শ্রীলঙ্কায় বসবে নারী এশিয়া কাপ। টি-টোয়েন্টি সংস্করণের এই আসরে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন জেসি। তার যদি ম্যাচ পরিচালনার যোগ্যতা না তাকে তবে তিনি কীভাবে আন্তর্জাতিক নারী আম্পায়ারের স্বীকৃতি পান ? শুনেছি প্রধান দুটি দলের কর্মকর্তারা মৌখিকভাবে আপত্তি জানিয়েছিলেন। কারণ কি ?এর আগে ইমার্জিং এশিয়া কাপে দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে জেসির। গত বছরের জুনে এটি অনুষ্ঠিত হয়েছে হংকংয়ে। এ ছাড়া চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত এসিসি প্রিমিয়ার কাপে আম্পায়ারিংয়ের দায়িত্ব পালন করেন তিনি। এরপরও জেসির কি নেই?’
বাংলাদেশ দলের হয়ে তিনটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা জেসির পুরো মনোযোগ এখন আম্পায়ারিংয়ে। এখন পর্যন্ত ৮টি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। তারপরও কি জেসির যোগ্যতা নেই?
news24bd.tv/ডিডি