ভাসানটেকে আগুন: একে একে পরিবারটির ছয়জনই না ফেরার দেশে

সংগৃহীত ছবি

ভাসানটেকে আগুন: একে একে পরিবারটির ছয়জনই না ফেরার দেশে

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর ভাষানটেক কালভার্ট রোডে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ এক পরিবারের ৬ সদস্যই মারা গেলেন। সবশেষ শনিবার (২৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের ফিমেল হাই ডিপেন্ডেন্সি ওয়ার্ডে মারা যান লিজা (১৮) নামে এক কিশোরী। এরআগে তার বাবা, মা, ভাই, বোন ও নানীর মৃত্যু হয়।

বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক তরিকুল ইসলাম বলেন, লিজা আক্তার শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ নিয়ে ইনস্টিটিউটের আইসিইউতে ভর্তি ছিল।

তার মৃত্যুর মধ্য দিয়ে এ ঘটনায় দগ্ধ আর কেউ ইনস্টিটিউটে ভর্তি নেই।

পুলিশ, পারিবারিক ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ এপ্রিল ভোর ৪টার দিকে ভাসানটেক নতুনবাজার কালভার্ট রোডের ৪/১৩ নম্বর দোতলা বাসার নিচতলায় গ্যাস লিকেজ থেকে আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন মো. লিটন (৪৮), তাঁর স্ত্রী সূর্য বানু (৩০), তাঁদের তিন সন্তান লিজা আক্তার (১৭), লামিয়া (৭) ও সুজন (৮) এবং লিটনের শাশুড়ি মেহরুন্নেছা (৮০)। পরে তাঁদের শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ এপ্রিল মেহরুন্নেছা, ১৫ এপ্রিল সূর্য বানু, ১৬ এপ্রিল মো. লিটন, ১৯ এপ্রিল লামিয়া ও ২৪ এপ্রিল সুজনের মৃত্যু হয়।
দগ্ধদের স্বজন ময়না বেগম বলেন, পরিবার নিয়ে কালভার্ট রোডের দোতলা বাড়িটির নিচতলায় ভাড়া থাকেতেন ফার্নিচার ব্যবসায়ী মো. লিটন। ১২ এপ্রিল রাতে ওই বাসার সবাই ঘুমিয়ে ছিল। ভোরে মশার কয়েল জ্বালানোর জন্য লিটন দিয়াশলাই জালাতেই আগুনের ঘটনা ঘটে। এতে পরিবারটির ছয়জনই দগ্ধ হয়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী ভাসানটেক থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাঈমুল ইসলাম হূদয় বলেন, আগে থেকেই গ্যাসের লিকেজের কারণে বাসাটিতে গ্যাস জমে ছিল। ভোর ৪টার দিকে মশার কয়েলের জন্য দিয়াশলাই জ্বালাতেই সেই গ্যাস থেকে বিস্ফোরণ হয়। ছড়িয়ে পড়া গ্যাসে আগুন ধরে গেলে তারা দগ্ধ হয়।

প্রাথমিক তদন্তে পাওয়া তথ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘তাদের ঘরের বাইরে থাকা গ্যাস সিলিন্ডারটি ঘরে চুলার সঙ্গে পাইপ দিয়ে যুক্ত ছিল। বাসার দরজাটি লোহার। পাইপটি লোহার দরজার ফোকর দিয়ে ঘরে নেওয়া হয়। লোহার দরজায় পাইপ কেটে যাওয়ায় গ্যাস ঘরে জমা হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। ’

news24bd.tv/DHL