বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করা হলেও এখন পর্যন্ত মন্ত্রী-এমপিরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানসহ নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিচ্ছেন, বক্তব্য রাখছেন, কিন্ত এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো প্রকার আচরণবিধি তৈরি হয়নি। সরকারের আচরণবিধি ভঙ্গ করলেও নির্বাচন কমিশন থেকে কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। বরং নির্বাচন কমিশনকে নানাভাবে ব্যবহার করছে সরকার।
শুক্রবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, পুরো নির্বাচন ব্যবস্থায় জগাখিচুড়ি অবস্থা বিরাজ করছে। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন না ঘটিয়ে বরং সরকার বিরোধীদেরকে নানাভাবে কোণঠাসা করা হচ্ছে। নির্বাচন কমিশন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হলেও আজ সরকারি প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। নির্বাচন ভবনটি আজ আওয়ামী লীগের অফিসে পরিণত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করে যাচ্ছেন মুস্তাফিজুর রহমান বাবলা। এই বাবলার ভয়ে তটস্থ নির্বাচন কমিশনের বিভিন্ন স্তরের মেধাবী কর্মকর্তারা। গোপনে তথ্য না দিলে তাদেরকে সরকারবিরোধী লোক বলে অভিযুক্ত করে বদলিসহ নানা ধরনের হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকেন তিনি। বিশেষ করে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহমেদ খান এর সাথে তার সম্পর্ক খুবই ভালো। এ ফরহাদ আহমেদ খান সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগী। নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালউদ্দীন আহমদ নানাভাবে বাবলাদের সাহায্য সহযোগিতা করে থাকেন। আমাদের কাছে এধরনের অকাট্য তথ্য প্রমাণ রয়েছে।
NEWS24▐ কামরুল