গত দুই মাসের রাজনৈতিক পটপরিক্রমা বিশ্লেষণ করলে এটি বুঝতে কারও সময় লাগবে না। যে জীবনভর যারা আওয়ামী ঘরানার রাজনীতি করেছেন, বঙ্গবন্ধুকে নেতা মেনেছেন; তারা ভিড়েছেন বিপরীত আদর্শ ও মেরুর দল বিএনপির সঙ্গে।
আবার যারা রাজনৈতিক জ্ঞান হওয়ার পর থেকে জিয়াউর রহমানের আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন, তারাই কিনা আওয়ামী লীগের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নির্বাচন করার কথা ভাবছেন।
রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই।
বলছি-জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও যুক্তফ্রন্ট নেতাদের সম্পর্কে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ড. কামাল হোসেন, মাহমুদুর রহমান মান্না, সুলতান মোহাম্মদ মনসুররা এবার নির্বাচন করবেন ধানের শীষ প্রতীকে।
আর জাতীয় যুক্তফ্রন্টের বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মেজর (অব.) মান্নান, শমসের মবিন চৌধুরী, জেবেল রহমান গাণিরা ভিড়ছেন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটে।
এতদিন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোটের বিপরীতে অবস্থান নিলেও এখন তাদের সঙ্গে কেন জোট বাঁধতে চাইছে যুক্তফ্রন্ট?
এ বিষয়ে দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী বিবিসিকে বলেন, আমরা সবসময় বলেছি-আমরা বিরুদ্ধবাদী রাজনীতির বিরুদ্ধে...। বিকল্পধারা তো জন্মের পর থেকে কখনই বিএনপি বা আওয়ামী লীগ কারও বিরুদ্ধে রাজনীতি করেনি।
তিনি বলেন, আমরা তো একসময় বিএনপি থেকে বেরিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিলাম। পরে সেই বিএনপির সঙ্গে তো আমরা এতদিন আলোচনা করেছি যে আমাদের নীতির ওপর ভিত্তি করে বৃহত্তর ঐক্য গঠন করা যায় কিনা। সেটি হয়নি। কিন্তু আমরা আমাদের চেষ্টা থেকে সরে যাইনি।
রাজনীতির গুণগত পরিবর্তনে আওয়ামী লীগসহ মহাজোটে সম্পৃক্ত হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেন তিনি।
এ ছাড়া দেশবিরোধী শক্তিকে রুখে দেয়ার পাশাপাশি গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতে এবং গণতন্ত্রবিরোধী সব ধরনের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে মহাজোটের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন মাহী বি চৌধুরী।
গত সপ্তাহে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক করেন যু্ক্তফ্রন্ট নেতা ও বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) মান্নান, বিকল্পধারার সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী প্রমুখ।
NEWS24▐ কামরুল