নাম সততা স্টোর, এই স্টোরে নেই কোনো বিক্রেতা। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের খাতা-কলম, টিফিনের বিস্কুট, চকলেটসহ প্রয়োজনীয় অনেক কিছু এখানে পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনে তার দাম ক্যাশ বাক্সে রেখে যায়।
এ ব্যাপারে আলামকাঠী পল্লীমঙ্গল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন কুমার চক্রবর্তী বলেন, আমাদের স্কুলে ছায় মাস আগে বিক্রেতা ছাড়াই চালু হয় সততা স্টোরটি।
নবম শ্রেণির ছাত্রী সাদিয়া আক্তার জানায়, সততা স্টোরটি চালু হওয়ায় আমাদের এখন আর কষ্ট করে বাহির থেকে টিফিন বা কলম খাতা কিনতে হয় না।
দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির পিরোজপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো. নাসিম আলী জানান, স্কুলের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সততা, নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সৎ জীবন ধারনের জন্য এমনই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যাতে শিশুরা পড়াশুনা শেষ করে দুর্নীতি থেকে বিরত থাকে এবং দুর্নীতি দমনে সোচ্চার থাকে।
তিনি আরো জানন, ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির’ আয়োজনে ও অর্থায়নে আমরা পিরোজপুর জেলায় মোট ২২টি সততা স্টোর দিয়েছি।
এর মধ্য পিরোজপুর পৌর এলাকায় চারটি,নাজিরপুরে তিনটি,ভান্ডারিয়ায় তিনটি,মঠবারিয়ায় তিনটি,কাউখালিতে তিনটি, ইন্দুরকানীতে তিনটিসহ মোট ২২টি। যার বেশির ভাগই ভালোভাবে চলছে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/ইমন/তৌহিদ)