আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রোববার (৩০ জুলাই) অগ্নি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সারা দেশে সব উপজেলা ও থানায় আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। বিক্ষোভ সমাবেশে আওয়ামী লীগের সব সহযোগী সংগঠনও একই কর্মসূচি পালন করবে।
শনিবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ে জরুরি যৌথসভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিএনপির মহাসমাবেশ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা যা আশঙ্কা করেছি, তাই সত্যি হয়েছে।
শুক্রবারে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির সফল করায় সংশ্লিষ্টদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ গতকাল রেকর্ড উপস্থিতিতে চেতনার অভ্যুত্থান ঘটিয়েছে, নবজাগরণের সৃষ্টি করেছে।
আওয়ামী লীগের কর্মসূচি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা (বিএনপি) বলে তাদের কর্মসূচি দেখে আমরা কর্মসূচি দেই। এবার তো তাদের কর্মসূচি হয়নি, কিন্তু আমাদের হয়েছে।
বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা মাতুয়াইলে চারটি পরিবহনে আগুন দিয়েছে। ইশা পরিবহন, স্বদেশ পরিবহন পুড়িয়ে দিয়েছে, পুলিশ ভ্যানেও হামলা করেছে। মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকারে হামলা করেছে। ওয়েলকাম পরিবহনে শুধু হামলায় করেনি, অগ্নিসংযোগ করেছে। সদরঘাটেও ভিক্টর পরিবহনে অগ্নিসংযোগ করেছে। রাজধানীতে তারা মোট সাতটি বাসে অগ্নিসংযোগ ও হামলা করেছে। ধোলাইখাল মোড়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নাহিদকে বেধড়ক পেটাতে দেখা যায়। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ওসি গোলাম মোস্তফাকে মারধর করেছে। ঢাকা মহানগর উত্তরের আওয়ামী লীগ কর্মী মুহিবুর রহমান নয়নের ওপর হামলা করে কবজি কেটে নিয়েছে।
যৌথসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ফারুক খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামসহ দলটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা।