কখনও আকাশ কোণে জমাট মেঘ তো কখনও তপ্ত রোদ। মাঝে মধ্যে কয়েক ফোঁটা বৃষ্টি। এই রোদ আর মেঘের খেলার মাঝে জীবন দুর্বিষহ করে তুলছে ঘাম ঝরানো ভ্যাপসা গরম।
তবে রাতের আঁধার নেমে আসার সাথে সাথে জোৎস্না আলোর খেলায় মেতে উঠছে হালকা কুয়াশা।
বর্তমানে এমন বৈচিত্র্যময় আবহাওয়া বিরাজ করছে রাজশাহী জুড়ে।
তবে আবহাওয়ার এমন আমূল পরিবর্তনে নানা বয়সের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন বিভিন্ন রোগে। হাসপাতালসহ বিভিন্ন চিকিৎসা কেন্দ্রে বাড়ছে রোগীদের ভিড়। বিশেষ করে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা সর্দি-কাশি ও জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন।
তীব্র গরমে পদ্মায় গোসল করতে নামছে দামাল ছেলেরা
স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, রাজশাহীতে এখন সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার স্কেল খুব কাছাকাছি থাকায় এমন বিরূপ অবস্থা বিরাজ করছে।
বাংলা মাসের হিসেবে এখন শরৎকাল। যাকে বলা হয় শীতের আগমনী বার্তা বাহক। তবে আবহাওয়াবিদদের মতে এখনও বর্ষাকাল। তাদের ভাষায় আরও কিছুদিন পর শরৎকাল আসবে।
গ্রামাঞ্চলের প্রচলিত প্রবাদ বাক্য অনুযায়ী এই শরৎকালে ‘আশ্বিনে গা সিঁন সিঁন’। কথাটির মূল অর্থ হলো, আশ্বিনের শুরু থেকে হালকা শীতে প্রাণীকূলে শিহরণ জাগে। কিন্তু ইতোমধ্যে আশ্বিন মাস মাঝমাঝিতে অবস্থান করছে। এরপরেও সিঁন সিঁনের কোনো কিছুই নেই।
মূলত বৈরি আবহাওয়ার কারণে রাজশাহীতে আশ্বিনের মাঝারিভাগেও শীতের কোনো লক্ষণ নেই। এই সময়েও তাপমাত্রা বিরাজ করছে গ্রীষ্মকালের মতো। বৃষ্টিপাতেরও তেমন কোনো দেখা নেই বললেই চলে। যার কারণে গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ ও হেমন্তকালজুড়ে বিরাজ করছে চৈত্রের খরতাপ।
রাজশাহীর আকাশে জমাট বেঁধেছে কালো মেঘ
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, আশ্বিন মাস চললেও তাপমাত্রা একেবারে অসহনীয় পর্যায় রয়েছে। তাপমাত্রা ঘুরপাক খাচ্ছে ৩৪ থেকে ৩৭°C এর মধ্যে। গেল ভাদ্র মাসে সামান্য বৃষ্টি হওয়ার কারণে তাপমাত্রা কিছুটা কমলেও আশ্বিনের শুরু থেকেই ফের তাপমাত্রা বেড়ে গেছে।
পরিবেশবিদরা বলছেন, গেল কয়েক বছরের ন্যায় এবারও রাজশাহীতে শীত আসবে দেরিতে। কারণ আশ্বিন মাসে তাপমাত্রা যতটা নিচে নামার কথা, ততটা নামেনি। তাপমাত্রার এমন ওঠানামা বিরাজমান থাকলে অগ্রহায়ণের শুরুতে রাজশাহীতে শীতের দেখা মিলতে পারে।
অরিন▐ NEWS24