বঙ্গোপসাগরের কক্সবাজার উপকূলে বেড়েছে ডলফিনের বিচরণ। প্রায়ই দল বেঁধে এরা উপকূলের কাছে এসে সমুদ্রের নীল জলরাশিতে খেলা করছে। সেই অপূর্ব দৃশ্য দেখে মুগ্ধ হন জেলে ও স্থানীয়রা। মানুষের প্রতি বন্ধুভাবাপন্ন, সুন্দর এই সামুদ্রিক প্রাণীটি ঘিরে সুনীল অর্থনীতির নতুন সম্ভাবনা দেখছেন গবেষকরা।
কক্সবাজারের পেঁচারদ্বীপ সমুদ্র উপকূলের সাম্প্রতিক দৃশ্য এটি। যেখানে দেখা যায় সমুদ্রের নীল জলরাশিতে স্পিনার জাতের একদল ডলফিন খেলা করছে আপন মনে। কক্সবাজারের সোনাদিয়া ও পেঁচারদ্বীপ উপকূলে প্রায়ই ইরাবতি ও স্পিনার জাতের ডলফিনের খেলাধুলার এমন অপূর্ব দৃশ্য চোখে পড়ে জেলে ও স্থানীয়দের।
গত ১ ফেব্রুয়ারি কক্সবাজারের উখিয়ার শফিরবিল সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসে একটি ইরাবতি প্রজাতির মৃত ডলফিন। এভাবে সৈকতে মাঝে-মধ্যেই ভেসে আসে মৃত ডলফিন। যাদের অধিকাংশেরই মৃত্যু হয় জেলেদের জালে আটকে।
কেন এভাবে ভেসে আসছে মৃত ডলফিন বা কেনই বা মৃত্যু হচ্ছে এর গবেষণা দরকার বলে জানান স্থানীয় একজন যুবক।
সমুদ্র বিজ্ঞানীদের ধারণা, বঙ্গোপসাগরে ডলফিনের সংখ্যা বেড়েছে বলেই উপকূলে এদের হরহামেশা দেখা মিলছে। এখন পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে সাত প্রজাতির ডলফিন সনাক্ত করা হয়েছে।
ডলফিন মানুষের সাথে খেলা করতে পছন্দ করে। তাই প্রকৃত আবাসস্থলে গিয়ে ডলফিনের বিচরণক্ষেত্র দেখা, তাদের সাথে খেলাধুলা করা- সারাবিশ্বে পর্যটনের একটি অন্যতম খাত হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর প্রাণীটি সম্পর্কে আরও গবেষণা, তাদের বিচরণক্ষেত্র বা আবাসস্থল চিহ্নিত করা ও সংরক্ষণে উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দেন।
সাম্প্রতিক এক জরিপে বঙ্গোপসাগরে ৭ জাতের ১৬ হাজার ডলফিন শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে প্রায় ৬ হাজার রয়েছে ইরাবতি ডলফিন। ইরাবতি ডলফিন বিশ্বে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় বাংলাদেশে।
news24bd.tv/রিমু