রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারের বিস্ফোরণে ২১ জনের প্রাণহানীর ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গ্রেপ্তাররা হলেন- ভবনের মালিক ওয়াহিদুর রহমান, মতিউর রহমান ও ভবনের বেজম্যান্টের স্যানিটারি ব্যবসায়ী মিন্টু।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন গোয়েন্দা প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
তিনি বলেন, ভবনের আন্ডারগ্রাউন্ডে পার্কিং প্লেস না রেখে সেখানে কাঁচে ঘিরে স্যানিটারি ব্যবসার জন্য ভাড়া দেওয়া হয়েছিল।
এ অবস্থায় বিস্ফোরণের দায় দায়িত্ব ভবন মালিক বা ওখানকার ব্যবসায়ীরা এড়াতে পারে না।
তিনি বলেন, সবকিছু বিবেচনায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এখনো পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যমতে কু্উইন্স সেনেটারি মার্কেটের আন্ডারগ্রাউন্ড বিস্ফোরণের উৎস স্থল। বেইজমেন্টের এই আন্ডারে গ্রাউন্ড স্পেসটি রাজউকের বিধান অনুসারে খোলামেলা থাকলে সেখানে কোন ত্রুটি দেখা দিলে তাৎক্ষণিকভাবে নিরসন করা যেত। বায়ু গ্যাসসহ অন্যান্য সমস্যারও সমাধান করা যেত। বাড়ির মালিকরা টাকার লোভে আন্ডারগ্রাউন্ডকে এক সময় রান্নাঘর হিসেবে ব্যবহার করেছেন। সেই রান্নাঘরের গ্যাসের লাইন যথাযথভাবে অপসারণ না করে তার উপরেই সম্পূর্ণ এয়ার টাইট এসি করা নির্মাণ সামগ্রীর মার্কেট বানিয়ে দিয়েছেন। দোকানের মালিক বিল্ডিং কোডের বিধান না মেনে ভাড়া নিয়ে বেইজম্যান্টের ১ ইঞ্চি জায়গাকেও ফাঁকা না রেখে ডেকোরেশন করে দোকান বানিয়ে সেখানেই তার কর্মচারী ও ক্রেতা সাধারনের জীবনকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছেন। এতগুলো প্রাণের হানি ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি তাই ভবনের মালিক এবং দোকানদারের স্বেচ্ছাচারিতা, লোভ এবং অবহেলারই ফল। জান এবং মালের এ ক্ষতির অভিযোগে ভবন মালিক ওয়াহিদর রহমান মতিউর রহমান এবং দোকান মালিক আব্দুল মোতালেব মিন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আটক করা হয়।
news24bd.tv/তৌহিদ