ঝিনাইদহের শৈলকুপায় এক হতদরিদ্র কৃষক পরিবারে একসাথে জন্ম নিয়েছে ৩ পুত্র সন্তান। এতে ওই কৃষক পরিবারের ঘর আলোকিত হলেও তাদের বাইরে যেন অন্ধকার!
সুষ্ঠু পরিচর্যা ও সুচিকিৎসার অভাব আর অপুষ্টিতে ভুগছে সদ্য ভূমিষ্ঠ ৩ নবজাতকই। শৈলকুপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামের কৃষক মনিরুল কাজীর স্ত্রী লিমা গেল ৪ জুলাই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নরমাল ডিলেভারির মাধ্যমে এই ৩ যমজ শিশুর জন্ম দেন।
তিন ভাইয়ের নাম রাখা হয়েছে হাসান, হুসাইন ও ইউসুফ।
তবে একসঙ্গে নতুন ৩ সদস্য আসায় মনিরুল কাজীর ঘর আলোকিত হলেও বাইরে যেন অন্ধকার নেমে এসেছে। গর্ভবতী স্ত্রী লিমাকে নিয়ে অনেক আগে থেকেই আর্থিক টানাপোড়েনে ছিলেন তিনি।
তবে হাতে টাকা-পয়সা না থাকায় পরিচর্যা ও পুষ্টিহীনতার অভাবে মা লিমা ও নবজাতক ত্রয়ের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে চলেছে। মিলছে না মায়ের বুকের দুধ, চিকিৎসকের পরামর্শে খাওয়াতে হচ্ছে কেনা কৌটার দুধ, অর্থাভাবে জুটছে না পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যসেবা।
পরিবারের অন্য সদস্যরা জানায়, মনিরুল-লিমার বিয়ে হয় ৬ বছর আগে। তাদের প্রথম পুত্র সন্তানের বয়স ৪ বছর। তাকে এখন দেখভাল করার কেউ নেই। তাই ৪ বছরের ছেলেকে নানার বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন → বাঁচলো গেল না জোড়া মাথার যমজকে
স্বজন আর প্রতিবেশীরা বলছেন, সামান্য আয়ের এই কৃষক পরিবারের জন্য ৪টি সন্তান লালন-পালন করা অনেকটাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বিত্তবান বা সরকারি-বেসরকারি কিছু সহযোগিা পেলে পরিবারটি উঠে দাঁড়াতে পারবে। সন্তানদের যত্ন নিতে পারবে।
এ ব্যাপারে এলাকার নারী জনপ্রতিনিধি মদিনা খাতুন বলেন, ‘এই দম্পতির দুরাবস্থার কথা আমি শুনেছি। তাদের কোনো সরকারি সহযোগিতা প্রদান করা যায় কি না- সে ব্যাপারে আমি চেষ্টা করে দেখবো। ’
রুহুল/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর