মোটরসাইকেল কেনার আগে যে বিষয়গুলো খেয়াল রাখবেন

নারী-পুরুষ সবার কাছেই এখন মোটরসাইকেল বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তবে দুই চাকার এই বাহনটি কেনার আগে বেশ কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি। বিষয়গুলো মাথায় না রাখলে মোটরসাইকেল কেনায় প্রতারণার শিকার হতে পারেন।  

পরিচিতজনের পরামর্শ:

বাইকটি কিনতে চাইছেন সেটি সম্পর্কে আপনার পরিচিতজনদের পরামর্শ নিন। আশপাশের লোক, বন্ধু বা স্বজনদের মধ্যে কেউ মোটরসাইকেল চালালে তাঁদের মতামত নিন। কেউ না কেউ আপনাকে কোনো ভালো পরামর্শ দিতে পারে। হয়তো দেখা যেতে পারে ওই মোটরসাইকেলটি তাঁর আগে ছিল। আপনি চাইলে বাইক বিডির ফেসবুক গ্রুপে গিয়ে একটা জরিপ করে ফেলতে পারেন। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেবেন নিজে।

ব্র্যান্ড নির্বাচন:

মোটরসাইকেল কেনার সময় কোন ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল কিনবেন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়ে আপনি আপনার পরিবার বা বন্ধু মহলে যাদের বাইক আছে তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে পারেন। নতুন মোটরসাইকেল কেনার ক্ষেত্রে সর্বদা নির্ভরযোগ্য এবং জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেলের উপর গুরুত্ব দেওয়া ভালো। এতে আপনার গাড়ির নিরাপত্তা এবং স্থায়িত্ব নিশ্চিত হয়।

মডেল ও মাইলেজ: দুই চাকার কোন মডেল কিনবেন তা ঠিক করা খুবই কষ্টকর কাজ। মোটরসাইকেল যেন আরামদায়ক হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও মোটরসাইকেলের ওজন আপনার শারীরিক ক্ষমতার মধ্যে থাকতে হবে। এ ছাড়াও পেট্রোলের দাম যেভাবে বাড়ছে তাতে আপনাকে নজর দিতে হবে মাইলেজের দিকেও। মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে এক লিটার পেট্রোলে 80 কিলোমিটার পর্যন্ত পথ চলা যাবে।

ওজন: বাইক কেনার আগে অবশ্যই এর ওজনটা কেমন তা পরীক্ষা করে নিন। কেননা গাড়ির ওজন বেশি হলে তা সামলানো মুশকিল হতে পারে আপনার জন্য। সাধারণত এসব গাড়ি খুব হালকা হয়। ফলে যাদের ওজন বেশি, তারা এই গাড়ি চালালে সমস্যা হতে পারে। তা ছাড়া গাড়ির পিছনে আরও কাউকে বসালে, তার ওজনও বহনের ক্ষমতা আপনার গাড়ির রয়েছে কি না তা জেনে নিন।

রিসেল ভ্যালু:

আপনি যদি ঘন ঘন মোটরসাইকেল পরিবর্তন করেন, তাহলে রিসেল ভ্যালু বা পুনর্বিক্রয়মূল্য অনেক বড় একটা ব্যাপার। সে ক্ষেত্রে মোটরসাইকেল কেনার আগে রিসেল ভ্যালুর দিকে নজর দিন। যে মোটরসাইকেলগুলো কয়েক বছর চালিয়ে বিক্রি করলে ভালো দাম পাওয়া যায়, সেগুলো কিনুন।

অনুমোদিত পরিবেশক:

যেকোনো মোটরসাইকেল কেনার ক্ষেত্রে কোম্পানির অনুমোদিত পরিবেশকের কাছ থেকে কিনুন। এতে কেনার পরে আপনাকে ভোগান্তিতে পড়তে হবে না। অনেক দোকান আছে, যারা হয়তো কিছুটা কম দামে আপনার কাছে মোটরসাইকেল বিক্রি করবে, বিক্রয়–পরবর্তী কোনো সেবা দেবে না। মোটরসাইকেলের কোনো সমস্যা হলে দায়িত্ব নেবে না। এ জন্য নতুন বাইক কেনার আগে কোম্পানির পরিবেশকের নামগুলো যাচাই করে নিন।  

এ ছাড়া আপনার বাসার বা অফিসের আশপাশে আপনার পছন্দ করা মোটরসাইকেলটির রক্ষণাবেক্ষণ বা সার্ভিসিং সেন্টার আছে কি না, সেটাও একটা বিবেচ্য বিষয় হতে পারে।  

আরও পড়ুন:

আ.লীগ নেতা হত্যা: ১৩ আসামির ফাঁসি, ৮ জনের যাবজ্জীবন

কক্সবাজারে নারী পর্যটককে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’: গ্রেপ্তার ৫

আ.লীগ নেতা হত্যা: ১৩ আসামির ফাঁসি, ৮ জনের যাবজ্জীবন

খুচরা যন্ত্রাংশের সহজলভ্যতা:

ভাবুন, এমন মোটরসাইকেল কিনলেন, যেটির যন্ত্রাংশের দাম অনেক বেশি। সব সময় পাওয়াও যায় না। অনেকে মনে করতে পারেন, এটা নিয়ে চিন্তা করবেন কেন? ধরুন বাইকের ফুট পেগ (পাদানি) ভেঙে গেল। যা নতুন কিনতে হবে, কিন্তু শোরুমে নেই। কোথাও পাওয়া যায় না। একবার ভাবুন তো পাদানি ছাড়া আপনি বাইক চালাবেন কীভাবে?

সবশেষ:

সবকিছু বিবেচনার পর মোটরসাইকেলটি কিনে ফেলুন। নিবন্ধন বা রেজিস্ট্রেশন করাতে ভুলবেন না। নিজের ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকা জরুরি। ভালো একটা মোটরসাইকেল কিনলেন, কিন্তু নিজের সুরক্ষার জন্য কিনলেন একটি নিম্নমানের হেলমেট; বিষয়টা কেমন হয়ে গেল না? একটু খরচ হলেও একটা ভালো মানের হেলমেট কিনুন। মোটরসাইকেল কেনার বাজেটে আগেই হেলমেটের দাম ঢুকিয়ে রাখুন।

news24bd.tv/ নাজিম