নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহারে

৫ বছরে সড়ক সংস্কারে সরকারের গচ্চা প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা

তথ্য বলছে, নিম্নমানের আমদানি করা বিটুমিন ব্যবহারের ফলে, গত ৫বছরে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা সড়ক-মহাসড়কে সংস্কার ব্যয় হিসেবে, গচ্চা দিতে হয়েছে সরকারকে।  

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর ফলে একদিকে যেমন সড়কের আয়ুষ্কাল কমেছে অন্যদিকে বেড়েছে জনভোগান্তি। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সমস্যার মূল কারণ, সড়ক নির্মানের মূল ‍উপাদান বিটুমিনেই ভেজাল ও মানহীনতা। সমাধান হিসেবে বিশ্লেষকরা বলছেন, সংস্কার ব্যয় কমানোর একমাত্র উপায়, ভালোমানের বিটুমিন ব্যবহার এবং নির্মান কাজে বাড়তি নজরদারি।  

দেখে কি মনে হয়, মাত্র ৬ মাস আগেই এই রাস্তাটি নির্মান করা হয়েছে। সরেজমিন অনুসন্ধান আর ছবি বলছে, প্রায় লক্ষাধিক মানুষের ব্যবহারের জন্য তৈরি এই রাস্তাটি এখন মানুষের ভোগান্তির কারণ। কিন্তু কথা ছিলো, রাস্তা হবে দীর্ঘায়ু।

বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি জেলাতেই এরকম রাস্তা আছে, যে গুলোর নির্মান ব্যয়ের তুলনায় সংস্কার ব্যয় বেশি হয়েছে। খোদ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থ বছরে নতুন রাস্তা নির্মাণ ও সংস্কার বাবদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৯ হাজার ৪৪২ কোটি টাকা। এরআগের বছর ও এই খাতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল ২৯ হাজার ২৭৪ কোটি টাকা।

এভাবে গেল ৫ বছরে প্রায় দেড় লাখ কোটি টাকা অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

ড. নাজমুস সাকিব, সহযোগী অধ্যাপক ও বিটুমিন বিশেষজ্ঞ, আইইউটি বলেছেন, প্রশ্নহলো, রাস্তা কেনো এতো দ্রুত ভাঙে? আর কেনো বাড়ে সংস্কার ব্যয়? রাস্তায় ব্যবহার করা পাথর কেশক্ত করে আঁকড়ে রাখে বিটুমিন বা পিচ। মূলত সেটার মানহীনতা আর ব্যবহারের অপকৌশলই দায়ী, এই বিপুল সংস্কার ব্যয়ের জন্য।

সংস্কার ব্যয়ের এই বাড়তি টাকা বাঁচানোর একমাত্র কৌশল, ভালো মানের কাঁচা মালে সড়ক নির্মান বলছেন এই অর্থনীতিবিদ।

সড়ক নির্মানে আমদানি করা নিম্নমানের বিটুমিন ব্যবহার থামানো গেলে, রাস্তার যেমন আয়ুস্কাল বাড়বে, সেই সঙ্গে বাঁচবে সরকারের হাজার কোটি টাকার সংস্কার ব্যয়। একই সাথে কমবে, মানুষের ভোগান্তি।

news24bd.tv / কামরুল