গাজীপুরে ৫২তম চৈতালী মেলা

মেলা বাঙালিয়ানার হাজার বছরের লালিত ইতিহাস। আবহমান বাংলা ও বাঙালী সংস্কৃতির ঐতিহ্য। লোকসংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাঙালী মনের আনন্দ-খুশিকে প্রাণবন্ত করতেই মেলা বসে শহর থেকে গ্রামাঞ্চলে। মেলা বলতে আনন্দ-উল্লাস আর আবেগঘন মনের খোরাক এবং প্রাণের মেলা হিসেবে পরিগণিত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন ধরে। গাজীপুরে অঞ্চলে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে মেলার আয়োজন করা হয়। এরই একটি শ্রীপুরের হয়দেবপুরের চৈতালী মেলা। এবার বসেছে এটির ৫২তম আসর। বাংলা চৈত্র মাসের প্রথম বুধবার শুরু হয়ে এই মেলা চলে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত। আশপাশের এলাকার মানুষের মীলোণ মেলায় পরিণত হয় স্থানটি।

ধর্ম-বর্ণ-সম্প্রদায়ের উর্ধে উঠে মেলা মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন গড়ে দেয়। ছোট-বড় নির্বিশেষ নাগর দোলায় দোল খাওয়া যেনো বাঙালীর হাজার বছরের ঐতিহ্য। গ্রাম বাংলার মেলা তাই হাজার বছরের ঐতিহ্যের এক মহা সম্মিলন। ৫১ বছর ধরে এমনই এক মিলন মেলা দেখছেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হয়দেবপুর ও এর আশপাশের মানুষ। প্রতি বছর বাংলা পঞ্জিকার শেষ মাস অর্থাৎ চৈত্র মাসের প্রথম বৃহস্পতিবার জমে এই চৈতালী মেলা। তবে এর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয় বুধবার এবং সমাপ্তি ঘটে শুক্রবার দুপুরে। মেলায় এসে খুশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

সিরাজগঞ্জে ঘাতক ট্রাকচাপায় গেল তিন প্রাণ

চট্টগ্রামে হোটেলে বিদেশি নাগরিকের মরদেহ

বিমান পড়া মেলা

দৈনিক ২০০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকি পেয়ে ‘ভয়ে ইসরাইল’

নরসিংদীতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে গৃহহীনরা পেলেন ঘর

মেলায় নানা রকমের পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানীরা। গ্রাম-বাংলার নানা ঐতিহ্যবাহী জিনিসের সাথে মেলার অন্যতম আকর্ষণ বিভিন্ন ধরনের জিলাপি। প্রাণঘাতি করোনার কারণে লোকসমাগম কম হলেও বেলায় বেচাবিক্রিও ভালো বলে জানান তারা।

আয়োজকরা জানালেন, গতবছর করোনার কারণে মেলা করা সম্ভব হয়নি। এবার করোনা ভ্যাকসিন চলে আসায় সীমিত পরিসরে আয়োজন করা হয়েছে। উপস্থিতি সীমিত রাখতে চালানো হয়নি প্রচার প্রচারণা। স্বাস্থবিধি মেনে মেলা পরিচালনা করা হচ্ছে এবারের মেলা দাবি আয়োজকদের।

news24bd.tv তৌহিদ