নোয়াখালীতে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থেকে সরিয়ে নিতে হাইকোর্টের নির্দেশ।
এ-সংক্রান্ত বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন আমলে নিয়ে সোমবার ( ৫ অক্টোবর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শমীম এই আদেশ দেন।
২ সেপ্টেম্বর রাতে গৃহবধূকে নির্যাতনের ঘটনাটি ঘটে। আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় এক মাস ধরে ঘটনাটি ধামাচাপা পড়েছিলো। ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নির্যাতনের প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
পরে ঘটনার ৩৩ দিন পর রোববার (৫ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টার দিকে ৯ জনকে আসামি করে পর্নোগ্রাফি এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন নির্যাতিতা নারী।
আরও পড়ুন: নোয়াখালীতে প্রশাসন কী ঘুমিয়ে আছে: ফরিদা ইয়াসমিন
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২ সেপ্টেম্বর রাত ৯টার দিকে উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের খালপাড় এলাকার নূর ইসলাম মিয়ার বাড়িতে গৃহবধূর বসতঘরে ঢুকে তার স্বামীকে পাশের কক্ষে বেঁধে রাখে স্থানীয় বাদল ও তার সহযোগীরা। এরপর গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করে তারা। এ সময় গৃহবধূ বাধা দিলে তারা বিবস্ত্র করে বেধড়ক মারধর করে মোবাইলে ভিডিও চিত্র ধারণ করেন।
৯ আসামির মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রধান দুই আসামিসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী।
গ্রেপ্তাররা হলেন- প্রধান আসামি বাদল ও দেলোয়ার, একলাশপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের জয়কৃঞ্চপুর গ্রামের খালপাড় এলাকার হারিদন ভূঁইয়া বাড়ির শেখ আহম্মদ দুলালের ছেলে মো. আব্দুর রহিম (২০) ও একই এলাকার মোহর আলী মুন্সি বাড়ির মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে মো. রহমত উল্যাহ (৪১)।
news24bd.tv নাজিম