সন্ধ্যা ছয়টার পর উপকূল অতিক্রম করবে রিমাল

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের অগ্রভাগের প্রভাব তিনটার পর থেকেই শুরু হয়েছে। সন্ধ্যা ৬ টার পর থেকে ৩ থেকে ৪ ঘন্টার মধ্যে উপকূল অঞ্চল দিয়ে এর মূল অংশ অতিক্রম করবে। এখন ১৩ কিলোমিটার গতিতে ধেয়ে আসছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

আজ রোববার বেলা ১২টার সময় এটি পায়রা বন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে ছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তর ১২ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলে, ঘূর্ণিঝড় রিমাল আজ বেলা ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২২০ কিলোমিটার এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ২০০ কিলোমিটার দক্ষিণ ছিল।

আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে মোংলার কাছে দিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ ও পটুয়াখালীর খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম করতে পারে। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র অতিক্রমের পর এর নিম্নভাগ অতিক্রম চলতে থাকবে।

বেলা তিনটার দিকে আবহাওয়াবিদ মো. উমর ফারুক বলেন, আজ সন্ধ্যার পরই উপকূল অতিক্রম করতে পারে রিমাল। এর আগে অগ্রভাগের প্রভাব অনেকটাই শুরু হয়ে যাবে।

আবহাওয়াবিদ উমর ফারুক জানান, ঘূর্ণিঝড়ের এগোনোর গতি আগের চেয়ে বেড়েছে। আজ সকাল থেকেই এটি ঘণ্টায় ৯ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছে। আগে এর গতি ছিল ঘণ্টায় ৬ থেকে ৭ কিলোমিটার। ভূমির স্পর্শ পেলে ঘূর্ণিঝড়ের গতি বাড়তে পারে।

আজ সকালেই পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়।

উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলো ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলোও ৯ নম্বর মহাবিপৎসংকেতের আওতায় থাকবে।

জলোচ্ছ্বাস নিয়ে আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির সামনের অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের কাছের দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮ থেকে ১২ ফুটের বেশি জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

এছাড়াও রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মিলিমিটার/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (৮৯ মিলিমিটার/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে।

কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলে ভূমিধসের ঘটনা ঘটতে পারে।

news24bd.tv/তৌহিদ