শরিকদের জন্য আ.লীগ ৬০ আসন রেখেছে 

মহাজোটের নেতৃত্বে থাকা আওয়ামী লীগ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শরিক দলগুলোর জন্য ৬০টি আসন রেখেছে । তবে দর-কষাকষির মধ্য দিয়ে আরও ১০টি আসন শরিকদের জন্য ছেড়ে দিতে পারে দলটি।

আর মহাজোটে শরিক হয়ে নির্বাচনে গেলে জাতীয় পার্টি ৩৫ থেকে ৪০টি আসন পেতে পারে। আওয়ামী লীগের কয়েকটি বিশ্বস্ত সূত্র এই তথ্য জানিয়েছে।

তবে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিতদের কেউ কেউ আওয়ামী লীগ অথবা অধ্যাপক ড. এ কিউ এম বদরুদ্দোজ্জা চৌধুরীর জোট যুক্তফ্রন্টে ভিড়লে আসন বণ্টনের হিসাবে হের-ফের হতে পারে।

আগামী তিন দিনের মধ্যেই মহাজোটের আসন বণ্টন চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান। সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান দলটির মনোনয়ন বোর্ডের সদস্যও।

আসন বণ্টন নিয়ে ফারুক খান বলেন, আসন বণ্টন প্রায় চূড়ান্ত। ২০০৮ এবং ২০১৪ সালের নির্বাচনকে আমলে নিয়েই আমাদের আসন বণ্টন করতে হচ্ছে। জোট করা হয়েছে শুধু আসন ভাগাভাগির জন্য নয়, বিজয় নিশ্চিত করতেই আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়েছি।

জাতীয় পার্টি শত আসন চেয়ে চিঠি দিয়েছে আওয়ামী লীগকে- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জোটে অন্তভুর্ক্ত হয়ে যে কোনো দল সর্বোচ্চটাই চাইবে। কিন্তু বাস্তবতার নিরিখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। কোন দলের কোন প্রার্থীকে মনোনয়ন দিলে বিজয় নিশ্চিত করতে পারবেন, তা নিয়েই আমাদের ভাবতে হচ্ছে। এই ভাবনায় শরিকদেরও ভূমিকা আছে।

জাতীয় পার্টি ২০০৮ সালের নির্বাচনে যে কয়টি আসনে মহাজোটের সমর্থন পেয়েছিল, এবারে তার চেয়ে সামান্য কম-বেশি হতে পারে বলে যোগ করেন ফারুক খান।

‘যুক্তফ্রন্টের চাওয়া ৩৮ আসন’-এমন প্রসঙ্গ তোলা হলে তিনি বলেন, জোটের পরিধি বাড়ছে। আমরা সব বিবেচনায় নিয়েই নির্বাচনে যাচ্ছি। যুক্তফ্রন্ট মহাজোটে এলে কয়টি আসন পাবে তা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আশা করছি, আগামী দুই-তিন দিনের মধ্যেই আসন বণ্টন চূড়ান্ত হবে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত কি না- জানতে চাইলে দলটির মনোনয়ন বোর্ডের এই সদস্য বলেন, প্রায় চূড়ান্ত। তবে জোটের আসন ভাগাভাগির জন্য আরেকটু সময় নিতে হচ্ছে। এখন পর্যন্ত দলের কাউকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি। যিনি দলের সিদ্ধান্ত পেয়েছেন বলে প্রচার করছেন, তার দায় ওই ব্যক্তির। এ নিয়ে দলীয় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

NEWS24▐ কামরুল