দাপটের সঙ্গে টানা জয় তুলে নিয়ে সবার আগে ফাইনাল নিশ্চিত করলেও শেষ পর্যন্ত শিরোপা ঘরে তোলা হলো না টাইগারদের। চোটের কারণে খেলার মাঝে সাকিবের মাঠ ছাড়ার ধাক্কাটা যেন গোটা টিমের মনোবলে ধাক্কা দিয়ে বসে। আর তাই কম পুঁজি নিয়েও ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে স্বাগতিক বাংলাদেশের বিপক্ষে জয় পেয়েছে শ্রীলংকা।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে লংকানরা মাত্র ২২১ রানে অলআউটের পর মনে হয়েছিল সহজ জয় পাবে টাইগাররা।
ফলে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আরেকটি ফাইনালে বাংলাদেশ পেল হারের তেতো স্বাদ। শ্রীলঙ্কার কাছে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে এবার স্বাগতিকরা হেরেছে ৭৯ রানে।
এদিন ২২২ রান তাড়া করার আগেই একটা ধাক্কা খায় বাংলাদেশ।
এদিন শুরুতে পথ দেখাতে পারেনি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। মাত্র ২২ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে পরাজয়ের ইঙ্গিত পায় মাশরাফিরা। এর পর মুশফিক-মাহমুদউল্লাহর জুটি বাংলাদেশকে কেবল আশাই জাগিয়েছিল। ফেরার আগে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে অর্ধশত রানের জুটি উপহার দেন মুশফিক। চতুর্থ উইকেটে তারা গড়েন ৫৮ রানের জুটি। দলীয় ২৩তম ওভারে সুইপ করতে গিয়ে আউট হন মুশফিক। দলীয় রান তখন ৮০। এরপর ক্রিজে আসেন মিরাজ। তবে মাহমুদউল্লাহকে যথাযথ সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন তিনি। দলীয় ৯০ রানে ফিরে যান মিরাজ। এরপর ক্রিজে আসেন সাইফউদ্দিন। দলীয় ১২৬ রানের সময় দুর্ভাগ্যজনক রানআউটের শিকার হয়ে সাইফউদ্দিনের সাজঘরে ফেরার পর বাংলাদেশের শিরোপা জয় শ্রীলংকার দিকেই হেলে পড়ে।
এর আগে ২২২ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে সতর্ক শুরু করেন তামিম ইকবাল ও মোহাম্মদ মিঠুন। তবে বেশিক্ষণ সেই ধারা বজায় রাখতে পারেননি তামিম। দেশের অন্যতম সেরা এ ব্যাটসম্যান ১৮ বলে মাত্র ৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এরপর দলীয় মাত্র ৬ রান যোগ করে রানআউটের শিকার হন আরেক উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ মিঠুন।
সাকিবের পরিবর্তে খেলতে নামা সাব্বিরও এ ম্যাচে দলের জন্য বিশেষ অবদান রাখতে ব্যর্থ হন। দলীয় ২২ রানের মাথায় এ হার্ডহিটার (২) প্যাভিলিয়নের পথ ধরলে টাইগার শিবিরে হতাশা নামে। এরপর উইকেটে দুই ভায়েরা ভাই দলের হাল ধরেন। তবে তারা শুধু হারের ব্যবধানই কমাতে সমর্থ হন।