চলমান ভাঙচুর, অগ্নিকাণ্ড ইত্যাদির সঙ্গে 'বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন' কোনোভাবেই জড়িত নয় বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন আন্দোলনত শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ভোর রাতে এক ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ।
অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা এসবের তীব্র নিন্দা জানাই। আমাদের চলমান আন্দোলনে কেউ সহিংসতা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর দায়ভার নেবে না।
পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে অভিভাবক, শিক্ষকরা এবং সর্বস্তরের নাগরিকদের আন্দোলনে শরিক হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। শাটডাউনে অফিস আদালত সব বন্ধ রাখার আহ্বান থাকবে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ক্যাম্পাসে পুলিশ হলে হলে টিয়ারশেল, গ্রেনেড ও গুলি চালিয়েছে। সরকার দৃশ্যমান পদক্ষেপ সমাধানের পথ তৈরি করতে পারে। আমাদের আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার পথও খোলা থাকবে। হামলার সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগ কর্মী ও দায়িত্বরত পুলিশদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। জাতীয় সংসদে আইন পাশের মাধ্যমে কোটার সংস্কার করতে হবে।
পোস্টে তিনি অভিযোগ করেন, কোটা সংস্কারের যৌক্তিক ও ন্যায্য আন্দোলনে পুলিশ-বিজিবি-ছাত্রলীগ যৌথভাবে হামলা করে আন্দোলন দমনের প্রচেষ্টা করছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্বতঃস্ফূর্ত ও শান্তিপূর্ণ থাকলেও সরকার কোনো ধরনের দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। সরকার প্রথমে বিচার বিভাগকে সামনে রেখে শিক্ষার্থীদের সাথে কালক্ষেপণ ও দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছে। পরবর্তীতে সরকারের নির্দেশনায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও দলীয় সন্ত্রাসীদের মাধ্যমে সহিংসভাবে আন্দোলন দমনের প্রচেষ্টা চলছে।