ঈশ্বরদীতে দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর দাফন সম্পন্ন, গ্রামে শোকের মাতম

সংগৃহীত ছবি

ঈশ্বরদীতে দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থীর দাফন সম্পন্ন, গ্রামে শোকের মাতম

পাবনা প্রতিনিধি:

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার আজমপুর গ্রাম জুড়ে চলছে শোকের মাতম। বৃহস্পতিবার রাতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় এই গ্রামের চারজন এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামের একজন সহ মোট পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে।  নিহতরা সকলেই একটি ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউট এর ছাত্র এবং তারা পরস্পরের বন্ধু ছিল।

বৃহস্পতিবার রাতে তারা একটি প্রাইভেট কার যোগে ঈশ্বরদি থেকে নিজ এলাকায় ফেরার পথে ঈশ্বরদী পাবনা মহাসড়কের সুগার মিল এলাকায় গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্শ্ববর্তী রাস্তার বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে খাদে পড়ে গেলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

 

দুর্ঘটনায় আহত আরু দুইজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।  

নিহতদের স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই আজ শুক্রবার সকালে মরদেহগুলো তাদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিন জুমার নামাজের পর আজমপুর ঈদগাহ মাঠে নিহত চার বন্ধু শিশির, সিফাত,  জিহাদ ও বিজয়ের জনাজার নামাজ একই সঙ্গে অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে ডিগ্রী পাড়া কবরস্থানে তাদেরকে দাফন করা হয়।

 

এদিকে দুর্ঘটনার পর থেকেই পুরো আজিমপুর গ্রামে চলছে শোকের মাতম। একইসঙ্গে একই এলাকার চার শিক্ষার্থীর মৃত্যু এলাকাবাসী যেন মেনে নিতে পারছেন না। নিহতদের পরিবারের কান্না আর আহাজারি ভারাক্রান্ত করে তুলছে গ্রামের বাকি সবাইকে।

বৃহস্পতিবার রাত ৯ টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদিতে একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পার্শ্ববর্তী খাদে পড়ে যায়। এই দুর্ঘটনায় প্রাইভেট কারের মধ্যে থাকা ঈশ্বরদী উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের আজমপুর গ্রামের মাসুম আলীর ছেলে সিফাত হোসেন একই গ্রামের ইলিয়াস আহমেদের ছেলে শিশির আনোয়ার কবিরের ছেলে বিজয়, রেজাউল করিমের ছেলে জিহাদ এবং পার্শ্ববর্তী সলিমপুর ইউনিয়নের ভালইমারি গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে শাওন মারা যায়। তারা সবাই ঈশ্বরদী ভোকেশনাল ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণি শিক্ষার্থী ছিল বলে এলাকাবাসী নিশ্চিত করেছেন।

news24bd.tv/কেআই