জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক কমিশনার ওয়াহিদা রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, ‘একজন কর কমিশনার ১৭০ কোটি টাকা (গ্রামীণ ফোনসহ চারটি মোবাইল কোম্পানি) মাফ করে দেয় সেখানে এনবিআরের চেয়ারম্যান, অর্থসচিব ও অর্থমন্ত্রী কোথায়?এগুলো দেখলে সরকারের ইমেজ বাড়বে। দেশের স্বার্থে এটা কঠিনভাবে দেখা উচিত। ’
বুধবার জাতীয় সংসদে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন মুজিবুল হক চুন্নু।
মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘গ্রামীণ ফোনসহ চারটি মোবাইল কোম্পানির সুদ উনি মাফ করে দিয়েছেন।
এটা কেমন কথা হল। তাহলে এনবিআরের চেয়ারম্যান, আর্থিক-ব্যাংক প্রতিষ্ঠানের সচিব ও অর্থমন্ত্রী কোথায় গেলেন?তারা কি এ খবরটা রাখেন নাই? এ সমস্ত অনিয়ম যে হচ্ছে..। ’প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে মুজিবুল হক বলেন, হরিজন সম্প্রদায়ের মানুষেরা ঢাকা শহরের কিছু কিছু এলাকায় যুগের পর যুগ, দশকের পর দশক ধরে বসবাস করে সেবা দিয়ে আসছে।
পুরান ঢাকার বংশালের আগাসাদেক রোডের পাশের মিরনজিল্লা কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযানের কথা তুলে ধরে চুন্নু বলেন, এখানে প্রায় তিন হাজারের মত হরিজন সম্প্রদায় বসবাস করেন বহুদিন যাবত, যুগের পর যুগ।
মারা যাওয়ার পর আইসিইউয়ের বিলের জন্য লাশ আটকে রাখা হয় উল্লেখ করে মুজিবুল হক বলেন, সরকারি হাসপাতালে আইসিইউ স্বল্পতা আছে। ঢাকার বেসরকারি ইউনাইটেড হাসপাতালসহ বড় বড় হাসপাতাল রোগি মারা যাওয়ার পরেও আইসিইউতে নিয়ে আটকে রাখে। দুই-তিন পরে বলে সে নাই (মারা গেছে)। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সুপারভিশন করে এসবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা না নিলে.. পত্র-পত্রিকায় নিউজের পরে আমরা বলি, এর দুই একদিন স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দুই-একদিন অভিযান দেখি। তারপর দেখি ঘুমিয়ে গেছে। আইসিইউ ও লাইফ সাপোর্টের বিষয়টি কঠিনভাবে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
news24bd.tv/কেআই