সোহম করের ৪ কবিতা

অলংকরণ: আলফি

সোহম করের ৪ কবিতা

অনলাইন ডেস্ক

বিষণ্ণ চোখ
বেঁচে থাকার জন্য আমি কিছুই করলাম না সেভাবে। শুধু পায়ের উপর পা তুলে, টাকার হিসেব— বেঁচে থাকার জন্য কি টাকার হিসেব খুব প্রয়োজন? একটা অনন্ত রাত কেটে যাওয়ার পরেও আমি উত্তর পাইনি। প্রতিদিন সকালে উঠে আমার মনে হয়েছে, বেঁচে থাকার জন্য একটা ছেলে বিষণ্ণ চোখ তুলে চেয়ে আছে। এইসব দেখতে গিয়ে বেঁচে থাকার কথাই ভুলে গেছি।

ইত্যাদি, প্রভৃতি, তারপর
নিভে যাওয়া আলোতে তোমায় আমি সর্বস্ব দেখলাম। তুমি সফেন হয়ে ভেসে ছিলে নিভে যাওয়া আলোর মধ্যে। তাকিয়ে ছিলে আমার দিকে, নতুন স্পর্শের মতো সাহস দেখালে। আর দেখালে, একটা মজে যাওয়া নদী কী ভাবে ভিজে যায়।

ভিজে যেতে যেতে বিদ্যা মায়ার উৎসমুখে সর্বস্ব নিয়ে হয়তো কোনও নিভে যাওয়া আলোর বিছানায় ফিরে আসে।  

সংশয়
আয়না থেকে কে যেন অবসাদ ছুঁড়ে দেয় আমাকে। বিশ্বের কোলাহল, আনন্দ আমার ভালো লাগে না। আমি মানুষের কাছ থেকে আরও না শুনতে চাই। আমি মানুষের কাছ থেকে আরও না হওয়ার গল্প শুনতে চাই। আয়না থেকে কে যেন, চুপ থাকতে বলে আমাকে। বিশ্বের বকবকানি, হাসি আমার ভালো লাগে না। আমি মানুষের কাছ থেকে আরও সংশয় পেতে চাই। আমি মানুষের কাছে চুপ করে বসে থাকতে চাই।
চেয়ে থাকা
আবার যদি ফিরে চাও এখন আবার যদি আকাশ ছোঁয়া আবেগ— প্রতি সকালে আবার যদি চমকে ওঠো ভালো মন্দ স্বপ্নের মাঝে— আবার যদি সকাল থেকে বায়না ধরো প্রিন্সেপ ঘাট কিংবা নন্দন— এবারও আমি ফেরাতে পারবো না। এবারও গভীর চোখের মাঝখানে দাঁড়িয়ে আরও একটু উদাস হয়ে যাব। আরও একটা ঠান্ডা হাতে নতুন নেল পলিশ লাগিয়ে দেখিয়ে যেও। হাসি ছাড়া আর কিছুই ছুঁড়ে দিতে পারবো না। তুমিও শুধুই হাত ধরতে পারো। তাও রাস্তার ধারে। তবুও গভীর চেয়ে থাকা আমি এবারও ফেরাতে পারবো না।  


news24bd.tv/ডিডি

সম্পর্কিত খবর