বরাদ্দ বেড়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য

বরাদ্দ বেড়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য

অনলাইন ডেস্ক

জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পরিচালন ও উন্নয়ন ব্যয় মিলিয়ে সর্বমোট ২ হাজার ২১১ কোটি ৯৫ লাখ টাকার বাজেট প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এর মধ্যে, উন্নয়ন খাতে ১ হাজার ২৩৪ কোটি ৮ লাখ টাকা এবং পরিচালন খাতে ৯৭৭ কোটি ৮৭ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।

আগের অর্থবছরে সংশোধিত বাজেটে উন্নয়ন খাতের পরিমাণ ছিল ৬০১ কোটি ৬৯ লাখ টাকা এবং পরিচালন খাতের পরিমাণ ছিল ৯২১ কোটি ৬৫ লাখ ৬৬ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে গত অর্থবছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মোট সংশোধিত বাজেট এর পরিমান ছিল ১ হাজার ৫২৩ কোটি ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার টাকা।

অর্থাৎ, এবারের প্রস্তাবিত বাজেট গত বছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় বরাদ্দ বেড়েছে ৬৮৮ কোটি ৬০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা বেশি।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ের আওতায় যে সব প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অধিকতর উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, উপজেলা পর্যায়ে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রকল্প, বরিশাল আব্দুর রব সেরনিয়াবাত স্টেডিয়ামকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণ এবং বিদ্যমান জেলা সুইমিং পুলের উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, ভোলা জেলার গজনবী স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন, ইনডোর স্টেডিয়াম এবং সুইমিংপুল নির্মাণ প্রকল্প, মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলা ও ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন ও গাজীপুর জেলা সদরে সুইমিং পুল নির্মাণ প্রকল্প, গাজীপুর জেলার শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার স্টেডিয়াম এবং পটুয়াখালীর কাজী আবুল কাসেম স্টেডিয়ামের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্প, চাঁদপুর জেলা স্টেডিয়াম ও সুইমিং পুলের অধিকতর উন্নয়সহ ইনডোর স্টেডিয়াম নির্মাণ এবং শরীয়তপুর জেলা সদরে ইনডোর স্টেডিয়াম ও টেনিস কোর্ট নির্মান প্রকল্প, কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামাইন উপজেলায় ‘রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ স্টেডিয়াম’ নির্মানের জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রকল্প, গাজীপুর জেলার পূবাইল থানায় শেখ রাসেল মিনি স্পোর্টস গ্রাউন্ড নির্মাণের লক্ষ্যে জমি অধিগ্রহণ প্রকল্প।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রতি বছর বাজেটে যে খাতসমূহে বরাদ্দ দেয়া হয়ে থাকে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো বেকার যুবকদের আত্ম-কর্মসংস্থান সৃষ্টি, যুব কার্যক্রমের উপর গবেষনা ও জরিপ, জাতি গঠনমূলক কাজে যুবকদের সম্মৃক্তকরণ ও ক্ষমতায়ন, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ ও জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রদান, ক্রীড়াক্ষেত্রে প্রতিভা অন্বেষন, গ্রামাঞ্চলে ক্রীড়া পরিবেশ সৃষ্টি ও দক্ষ ক্রীড়াবিদ তৈরী, বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থাকে অনুদান  ও অস্বচ্ছল ক্রীড়াবিদদের কল্যাণ অনুদান প্রদান ও ক্রীড়া স্থাপনা নির্মাণ, উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষন।

অর্থমন্ত্রী গতকাল জাতীয় সংসদে বিকাল ৩টা থেকে ‘সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার’ শীর্ষক বাজেট বক্তব্য উপস্থাপন শুরু করেন।

এ সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী বলেন, সরকার ক্রীড়ার মানোন্নয়ন এবং খেলাধুলার সুযোগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন ক্রীড়া ক্লাবে ক্রীড়া সামগ্রী ও আর্থিক অনুদান প্রদানসহ আধুনিক স্টেডিয়াম, জিমনেসিয়াম, সুইমিংপুলসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন করে আসছে।

২০২৩-২৪ অর্থবছরে ক্রীড়া অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নের জন্য ১৩টি প্রকল্প চালু রয়েছে, যার মধ্যে মাঠ পর্যায়ে খেলাধুলা উৎসাহিত করার লক্ষ্যে অন্যতম হচ্ছে ‘উপজেলা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্প’। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী বাজেটে বিভিন্ন ক্রীড়া অবকাঠানো নির্মাণসহ যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নে ২০টি প্রকল্প গ্রহণের প্রস্তাব করা হয়।

পাশাপাশি দক্ষ খেলোয়াড় তৈরির লক্ষ্যে দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রশিক্ষক দ্বারা ক্রীড়া প্রতিভা অন্বেষনের মাধ্যমে বিভিন্ন বিভাগ থেকে প্রতিভাবান খেলোয়াড় খুঁজে দীর্ঘমেয়াদী প্রশিক্ষন প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়াও দেশীয় ও আন্তর্জাতিক খেলাধুলার আয়োজন ও অংশগ্রহণের জন্য ক্রীড়া ফেডারেশন, অ্যাসোসিয়েশন ও সংস্থাসমূহকে নিয়মিত আর্থিক অনুদান ও ক্রীড়া সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে।

news24bd.tv/SHS