দক্ষিণ আফ্রিকার নির্বাচনের প্রাথমিক ফলাফলে গত ৩০ বছর ধরে ক্ষমতায় থাকা আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বর্ণবাদ বিলুপ্ত হওয়ার পর থেকে এটিই দক্ষিণ আফ্রিকার রাজনৈতিক ইতিহাসে সবচেয়ে বড় চমক। খবর রয়টার্সের।
১০ শতাংশ ভোটকেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত ফলাফল অনুযায়ী, আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস মোট ভোটের ৪২ দশমিক ৩ শতাংশ পেয়েছে, যেখানে ব্যবসাবান্ধব ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স পেয়েছে ২৬ দশমিক ৩ শতাংশ এবং মার্ক্সবাদী ইকনোমিক ফ্রিডম ফাইটারস পেয়েছে ৮ দশমিক ১ শতাংশ ভোট।
প্রাথমিক ফলাফল থেকে এটাই প্রতীয়মান যে সরকার গঠন করতে হলে কংগ্রেসকে অন্য একটি দলের সাথে জোট গঠন করতে হবে, যা আসন্ন দিনগুলোতে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্ম দিতে পারে।
দক্ষিণ আফ্রিকার সংবিধান অনুযায়ী, নবনির্বাচিত জাতীয় পরিষদ পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করবে।
তবে কংগ্রেস এখনও দক্ষিণ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় দল এবং এর নেতা সিরিল রামাফোসা আবারও দেশটির প্রেসিডেন্ট হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোয় তার দলের ভেতর দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হতে পারে।
১৯৯৪ সালের পর থেকে প্রতি পাঁচ বছর পর পর অনুষ্ঠিত প্রতিটি নির্বাচনে কংগ্রেস জয়লাভ করে এসেছে। তবে বেকারত্ব, লোডশেডিং, অপরাধ ও দুর্নীতির কারণে দিন দিন কংগ্রেসের প্রতি মানুষের সমর্থন কমেছে।
নির্বাচনের সর্বষেষ ফলাফল ঘোষিত হওয়ার ১৪ দিনের মধ্যে নতুন আইনসভার বৈঠক বসতে হবে এবং তাদের প্রথম কাজ হবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করা।
কংগ্রেস যদি সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় তাহলে নির্বাচন পরবর্তী দুই সপ্তাহ ক্ষমতা নিয়ে কংগ্রেসের সাথে অন্য দলগুলোর তীব্র দরকষাকষির সম্ভাবনা রয়েছে।
news24bd.tv/ab