চুরির অপবাদে হাত-পা বেঁধে মাদ্রাসা ছাত্রকে অমানবিক নির্যাতন

চুরির অপবাদে হাত-পা বেঁধে মাদ্রাসা ছাত্রকে অমানবিক নির্যাতন

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের শৈলকূপায় চুরির অপবাদ দিয়ে এক মাদরাসা ছাত্রের ওপর অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা-সমালোচনার ঝড় চলছে।

ঘটনা গত রোববার ২৭ মে'র। উপজেলার হাটফাজিলপুর মুহাম্মাদিয়া মাদরাসায়।

নির্যাতনের শিকার তাওহীদ হোসেন ওই মাদ্রাসার হেফজ বিভাগের ছাত্র ও রঘুনন্দনপুর গ্রামের মান্নান বিশ্বাসের ছেলে।

ভুক্তভোগী তাওহিদের বাবা আব্দুল মান্নান জানান, কয়েকদিন আগে মাদরাসার আয়োজনে ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। সেই মাহফিলের জন্য আদায় করা টাকা ও হুজুরের ঘরি চুরির অপবাদ দিয়ে তার ছেলেকে হাত-পা বেঁধে বেধড়ক মারপিট করে মাদরাসা শিক্ষক মাহমুদ হাসান ও মাহাদী হাসান।

তিনি বলেন, মারপিটের পর আমার ছেলে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

তখন শিক্ষকরা তাওহিদকে মাদ্রাসার রুম থেকে বের হতে দেয়নি। পরে মঙ্গলবার দুপুরে সে কৌশলে মাদরাসা থেকে পালিয়ে বাড়ি চলে আসে। তখন আমার ছেলের শারীরিক অবস্থা খারাপ দেখে আমি হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাই।

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে মাদরাসা শিক্ষক মাহমুদ হাসান ও মাহাদী হাসানের ব্যক্তিগত মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন ধরেননি। ফলে এ বিষয়ে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মাদ্রাসার সভাপতি মনোয়ার মোল্লা এ বিষয়ে জানান, ওই ছাত্রের ওপর মারপিটের ঘটনা শোনার পর আমি উভয় পক্ষকে ডেকে সমাধানের চেষ্টা করছি।

এ বিষয়ে শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জানান, ওই মাদ্রাসা ছাত্রের উপর মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়েছে বলে শুনেছি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

news24bd.tv/SHS