বহুল সমালোচিত নাগরিকত্ব সংশোধন আইনের আওতায় ১৪ জন উদ্বাস্তুকে নাগরিকত্ব দিয়েছে ভারত। জাতীয় নির্বাচনের মাঝেই মুসলিমদের প্রতি বৈষম্যমূলক হিসেবে বিতর্কিত এই আইন প্রয়োগ করলো ভারত সরকার। খবর রয়টার্সের।
ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে আফগানিস্তান, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান থেকে ২০১৪ সালের আগে পালিয়ে আসা হিন্দু, ফার্সি, বৌদ্ধ, জৈন এবং খ্রিস্টানদেরকে আশ্রয় দেয়ার বিধান রয়েছে নাগরিকত্ব সংশোধন আইনে।
২০১৯ সালে গৃহীত হলেও ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভে অনেকের মৃত্যু হওয়ায় এতোদিন আইনটি কার্যকর করা হয়নি।
গত মার্চে আইনটি কার্যকর করা হয়। নরেন্দ্র মোদি এবং বিজেপি উভয়েই বলে থাকে আইনটি মুসলিমবিরোধী নয়।
বুধবার (১৫ মে) নাগরিকত্ব পাওয়া ব্যক্তিদের শপথবাক্য পাঠ করানো হয় এবং তাদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়।
নাগরিকত্ব পেয়ে উচ্ছ্বসিত হরিশ কুমার নামে এক ব্যক্তি জানান, এক যুগের বেশি সময় ধরে আমি দিল্লীতে পাকিস্তান থেকে পালিয়ে আসা হিন্দু উদ্বাস্তু হিসেবে বসবাস করছি। আমার জন্য এ এক নতুন জীবন প্রাপ্তি। অধিকার না থাকলে মানুষের কোনো মূল্য নেই। এখন থেকে আমরা শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে এগিয়ে যেতে পারবো।
ধারণা করা হচ্ছে অবশিষ্ট নির্বাচনে হিন্দু ভোটারদের আকৃষ্ট করতেই এমন উদ্যেগ নিয়েছে মোদি সরকার।
news24bd.tv/ab