মধুমতী নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ল দুটি শুশুক 

সংগৃহীত ছবি

মধুমতী নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়ল দুটি শুশুক 

অনলাইন ডেস্ক

ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মধুমতী নদীতে জেলেদের জালে দুটি শুশুক ধরা পড়েছে। শুশুক দুটি দেখতে স্থানীয়রা ভিড় জমায়। পরে শুশুক দুটি অজ্ঞাত জেলেরা ট্রলারে করে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে।  

সোমবার (১৩ মে) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার পাচুড়িয়া ইউনিয়নের চরনারানদিয়া ঘাট এলাকায় জেলেরা শুশুক দুটিকে নিয়ে আসেন।

স্থানীয় বাসিন্দা ও প্রত্যক্ষদর্শী আলী হাসান নামে এক যুবক বলেন, আমরা কয়েকজন মিলে মধুমতী নদীর চরনারানদিয়া ঘাটে গোসল করতে গিয়ে শুশুক দুটি দেখতে পাই। জেলেদের জালে ধরা পড়া শুশুক দুটি দেখতে অনেক মানুষ ভিড় করে। একেকটা শুশুকের ওজন প্রায় দুই থেকে আড়াই মন হবে। পরে শুশুক দুটি জেলেরা ট্রলারে করে কোথায় নিয়ে গেছে তা জানিনা।

তবে জেলেদের নাম পরিচয় না জানলেও যতটুকু জানতে পেরেছি জেলেদের বাড়ি চরনারানদিয়া এলাকায়।  

এদিকে স্থানীয়দের অভিযোগ বিপন্নপ্রায় প্রাণী শিকার বন্ধ করার ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা মৎস্যজীবীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরিতে কাজ করা উচিত। পাশাপাশি মৎস্যজীবী এবং সাধারণ মানুষের অজ্ঞতার কারণে নির্বিচারে অসংখ্য বিরল ও উপকারী প্রাণী প্রতিদিন ধ্বংস হচ্ছে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে।

 আলফাডাঙ্গার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, এটি দক্ষিণ চরনারানদিয়া এলাকার ঘটনা। আমি জানতে পেরেছি ওই এলাকার তরিকুল শিকদার নামে একজন জেলের জালে ধরা পড়া একটি শুশুক নিয়ে গেছেন। আরেকটি নাকি জেলেরা নদীতে ছেড়ে দিয়েছে।

৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) বকুল শিকদার বলেন, স্থানীয় জেলেদের জালে দুটি শুশুক ধরা পড়ছে বলে জানতে পেরেছি। দক্ষিণ চরনারানদিয়া গ্রামের আনোয়ার শিকদারের ছেলে তরিকুল শিকদার নামে এক ব্যক্তি একটি মরা শুশুক নিয়ে এসেছে কেটে জ্বাল দিয়ে তেল বানাবে বলে জানতে পেরেছি।

পাঁচুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বলেন, বিষয়টি শুনেছি তবে জরুরি কাজে ফরিদপুরে থাকায় ঘটনাস্থলে যাওয়া হয়নি ও বিস্তারিত জানতে পারিনি।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (অ.দা) এস এম লুৎফর রহমান বলেন, আসলে বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ আমাদের জানাননি। আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। শুশুক বা ডলফিন অত্যন্ত উপকারী ও নিরীহ একটা প্রাণী। জলজ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় এর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।  

এরা দেখতে ধূসর-বাদামি রঙের। এদের প্রধান খাদ্য মাছ। এ প্রাণী মারা আইনগত অপরাধ। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

news24bd.tv/কেআই