নিজ ধর্ম ও বিয়ের বিষয়ে গোপন রেখে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগের পর মোংলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিরনময় সরকারকে থানা থেকে রোববার প্রত্যাহার করে বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। বাগেরহাট জেলা পুলিশ (এসপি) আবুল হাসনত খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
যশোর জেলার কোতোয়ালি থানার পাগলাদহ এলাকার বাসিন্দা সোহরাব আলীর মেয়ে ভুক্তভোগী নাসিমা সুলতানা মহুয়া (৩২) শনিবার সশরীরে মোংলা থানার ওসি, সহকারী পুলিশ সুপার ও বাগেরহাটে পুলিশ সুপার বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ করেন। বিচার না পেলে আত্মহত্যারও হুমকি দিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই নারী।
বাগেরহাট পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে একটি লিখিত অভিযোগ সুলতানা রহমান মহুয়া নিজেকে মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বলে দাবি করেন।
পুলিশ কর্মকর্তা হিরনময় সরকার যশোর পিবিআইয়ে চাকরি কালে প্রায় পাঁচ বছর আগে তার সঙ্গে পরিচয় হয়। হিরনময় নিজেকে মুসলিম ধর্মাবলম্বী বলেও তাকে জানান। এরপর তাদের মধ্যে প্রেম, পরে বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এ বিষয়ে বাগেরহাট পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান অভিযোগের বিষয়ে বলেন, অভিযোগ পাবার পর রোববার মোংলা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিরনময় সরকারকে থানা থেকে রোববার প্রত্যাহার করে বাগেরহাট পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্তে অভিযোগ প্রমাণিত হলে হিরনময় সরকারের বিরুদ্ধে পুলিশের আইনের ধারা মতে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোংলা থানার পুলিশ ওসি (তদন্ত) হিরনময় সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কয়েক মাস আগে তার সঙ্গে ওই নারীর পরিচয় হয়। শারীরিক সম্পর্কসহ বিয়ের প্রলোভনের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন। ওই নারী স্রেফ তার বন্ধু ছিলেন। এখন তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করছেন, সে বিষয়ে তার কিছু বলার নেই বলেও জানান ওসি (তদন্ত) হিরনময়।
news24bd.tv/কেআই