করোনা টিকা কোভিশিল্ডে ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

প্রতীকী ছবি

করোনা টিকা কোভিশিল্ডে ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

অনলাইন ডেস্ক

করোনাভাইরাস এখন স্বাভাবিক পর্যায়ে এলেও শুরুতে একে মহামারি বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। করোনার সংক্রমণে থমকে গিয়েছিল সারা বিশ্ব। তবে সময় পাল্টেছে। করোনা এখন আর মহামারিরূপে নয়।

তবে এবার সামনে এসেছে করোনার টিকা কোভিশিল্ডের ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, করোনার টিকা কোভিশিল্ডের প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা জানিয়েছে, এ টিকার ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। এ টিকার কারণে ‘থ্রম্বোসিস থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম’ (টিটিএস) হতে পারে।

সম্প্রতি ব্রিটেনের একটি আদালতে জমা দেওয়া নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকাও বলেছে, তাদের তৈরি করোনা টিকা কোভিশিল্ড নেওয়া মানুষের শরীরে অত্যন্ত বিরল টিটিএসের উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

এর আগে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা অ্যাস্ট্রাজেনেকার করোনা টিকা কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি এই করোনা টিকা উৎপাদন করেছে ভারতীয় টিকা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া।

মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাস্ট্রাজেনেকা প্রথমবারের মতো আদালতের নথিতে স্বীকার করেছে, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যৌথভাবে তৈরি করা তাদের করোনা টিকা কোভিশিল্ড বিরল ও গুরুতর রক্ত জমাট বাধার ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে।

ভারতের সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে দেশটির সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ঈশ্বর গিলাদা জানিয়েছেন, থ্রোম্বোটিক থ্রম্বোসাইটোপেনিক সিনড্রোম হলো বিরল। কিন্তু এর প্রভাব গুরুতর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মাত্র ০.০০২ শতাংশ ক্ষেত্রেই এই ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। অর্থাৎ প্রতি ৫০ হাজার লোকের মধ্যে একজনেরও কম মানুষ এমন ঝুঁকিতে পড়তে পারেন।

ভারতের মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের ন্যাশনাল কোভিড-১৯ টাস্কফোর্সের কো-চেয়ারম্যান ডা. রাজীব জয়দেব জানান, এ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া শুধু প্রথম ডোজ নেওয়ার এক সপ্তাহের মধ্যে দেখা গেছে। এরপর আর দেখা যায়নি। এ ছাড়া ভারতে ‘থ্রম্বোসিস থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম’ হওয়ার কোনো খবর নেই বলেও জানান তিনি।

news24bd.tv/DHL