নৌকার লড়াইয়ে হকের বিরুদ্ধে মাঠে ড. ইউসুফ

সাতক্ষীরা ৩ আসনে নৌকার লড়াইয়ে হকের বিরুদ্ধে মাঠে ড. ইউসুফ

সাতক্ষীরা-৩ আসন

নৌকার লড়াইয়ে হকের বিরুদ্ধে মাঠে ড. ইউসুফ

বসে নেই বিএনপি-জামায়াত
শাকিলা ইসলাম জুঁই, সাতক্ষীরা

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সাতক্ষীরা-৩ আসনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টির যেসব প্রার্থীরা মাঠে নেমেছে তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীই বেশি। তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে আওয়ামী লীগের মাঠ প্রতিক্রিয়া বলছে ভিন্ন কথা। সঠিক প্রার্থী নির্বাচন আওয়ামী লীগের জয়ের ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তা না হলে এ আসনটি বিএনপি-জামায়াত জোটের দখলে যাবে।

ভৌগলিক দিক দিয়ে দেবহাটা, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ উপজেলার একাংশ নিয়ে গঠিত সাতক্ষীরা-৩ আসন। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে জামায়াত প্রার্থীকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন মহাজোটের প্রার্থী আওয়ামী লীগের ডা. আ.ফ.ম রুহুল হক। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াত অংশ না নেওয়ায় আবারও কপাল খোলে সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. রুহুল হকের। তবে রাজনৈতিক মামলার কারণে বিএনপি-জামায়াতকে মাঠে না দেখা গেলেও এবার নিজ দলে গৃহবিবাদের কারণে আওয়ামী লীগের একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থীকে মাঠে দেখা গেছে।

খুলনার নর্দান ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস এন্ড টেকনোলজির উপাচার্য ড. আবু ইউসুফ মো. আব্দুল্লাহ- সহ একাধিক প্রার্থী মাঠে রয়েছেন। রুহুল হকের বিরুদ্ধে নৌকার লড়াইয়ে তারা উঠান বৈঠক, সভা-সমাবেশ, গণসংযোগ সহ মটরশোভাযাত্রা করে আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরে দলীয় মনোনয়নের জন্য কাজ করছেন। আশাশুনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবিএম মোস্তাকিমও দলীয় মনোনয়ন চাচ্ছেন। এজন্য তিনি কেন্দ্রের বিভিন্ন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে জানা গেছে। এলাকায় গণসংযোগও অব্যাহত রেখেছেন।

তবে সাবেক স্বাস্থ্য মন্ত্রী ডা. রুহুল হক এমপি মনে করেন গত ১০ বছরে এলাকার যে উন্নয়ন করেছেন সেটিই দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করবে তার।

এদিকে বিএনপি'র নির্বাহী কমিটির সদস্য ডা. শাহিদুল আলম মনে করছেন নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে এ আসনটিতে বিএনপি বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। তিনি বলেন, এ আসনটি এবার পুনরুদ্ধার করতে চায় বিএনপি। ভোটারদের ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছি।

নিরপেক্ষ নির্বাচন আর মিত্র দল জামায়াত তাদের সাথে থাকলে এ আসনটি বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোটের দখলে যাবে বলে মনে করেন বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রকাশ্যে না থাকলেও জামায়াতের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী এরইমধ্যে মাঠে নেমে গেছেন। তারা গোপনে কাজ করে যাচ্ছেন। জামায়াত নেতা-কর্মীদের তৎপরতার ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি থাকায় নানা কৌশল অবলম্বন করছেন তারা। মাঠে তৎপর রয়েছে জামায়াতের মহিলা শাখা।

এদিকে জামায়াত ও জাতীয় পার্টির মাঠে তেমন কোন কার্যক্রম চোখে না পড়লেও জাপার প্রার্থী হতে চান দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাড. স ম সালাউদ্দীন।
এই আসনের মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৯০ হাজার ৭৯৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৯৭ হাজার ৪৭২ জন ও নারী ভোটার ১ লাখ ৯৩ হাজার ৩২৬ জন।

সম্পর্কিত খবর